পবিপ্রবিতে দুই দিনব্যাপী ‘গ্লোবাল ক্লাইমেট টক-২০২৪’ শুরু
- পবিপ্রবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৪ PM , আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৪ PM
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) পরিবেশ বিজ্ঞান এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অনুষদের আয়োজনে ‘সকলে মিলে ভবিষ্যৎ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা’ শীর্ষক ‘গ্লোবাল ক্লাইমেট টক-২০২৪’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১১ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের কনফারেন্স রুমে সকাল ১০টা থেকে দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানটি শুরু হয়েছে।
পরিবেশবিজ্ঞান এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. নুরুল আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস. এম. হেমায়েত জাহান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আব্দুল লতিফ, ডিন কাউন্সিলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান।
মূল বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জিওমার্ক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এ এন এম সফিকুল আলম। আন্তর্জাতিক বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউএস গ্রিন চেম্বার অফ কমার্সের সিইও মিশেল থ্যাচার।
অনুষ্ঠানে বক্তরা জলবায়ু পরিবর্তন ও এটি প্রতিরোধের ওপর নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে জলবায়ু পরিবর্তনসংক্রান্ত বিভিন্ন প্রদর্শনী ও পোস্টার প্রেজেন্টেশনসহ ও দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের দুর্ভোগের বিষয়ে বিশদ আলোচনা করা হয়।
জিওমার্ক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এ এন এম সফিকুল আলম বলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে ১০-১৫ শতাংশ শস্য উৎপাদন হ্রাস পাবে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে। এ ছাড়া বিভিন্ন প্রকারের রোগের উপদ্রব বৃদ্ধি পাবে। পটুয়াখালীসহ উপকূলীয় এলাকার মানুষ সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। দ্রুত তাপমাত্রা প্রশমনে নবায়নযোগ্য শক্তি ও সবুজ প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করতে হবে।
ইউএস গ্রিন চেম্বার অব কমার্সের সিইও মিশেল থ্যাচার বলেন, জলবায়ু নিয়ে গবেষণা গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে ঘূর্ণিঝড় বাড়ছে। ২০২৩ বিশ্বের সর্ব উষ্ণ বছর। সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ সময় তিনি আইপিসিসির সম্মিলিত প্রতিবেদন শেয়ার করেন।
পবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন,জলবায়ু পরিবর্তনে কৃষি, খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। দুর্যোগ প্রশমন ও টেকসই উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।