কর্মকর্তার হাতে শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় উত্তপ্ত পবিপ্রবি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০২:০৬ PM , আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০২:০৯ PM
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) পোস্টহারভেস্ট টেকনোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলামকে লাঞ্ছনার ঘটনায় ফুঁসে উঠেছে পুরো ক্যাম্পাস। এ ঘটনার প্রতিবাদে রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় অভিযুক্তের বিচারের দাবি তুলে বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও করেছেন শিক্ষার্থীরা।
এদিন সকালে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের গেটে তালা লাগিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারীদের অবরুদ্ধ করে গেটের সামনে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন শ্লোগান দেয়।
শিক্ষার্থীদের দাবি, একাধিক শিক্ষক লাঞ্চিত করার অভিযোগে অভিযুক্ত পিওটু প্রো-ভিসি মো. সামসুল হক ওরফে রাসেলেকে অবিলম্বে চাকুরিচ্যুত করতে হবে। তাদের দাবি না মানা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচী চলমান থাকবে।
এর আগে, গতকাল শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের জন্য নির্ধারিত কৃষিকুঞ্জের ডাইনিংয়ের কক্ষে শিক্ষক নজরুল ইসলামকে লাঞ্ছিত করেন রাসেল। ঘটনার পর ভুক্তভোগী শিক্ষক শিক্ষক সমিতির কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
শিক্ষার্থীরা জানায়, এর আগেও রাসেল সহকারী অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন মন্ডলকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছেন, যার ভিডিও ইতিমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এছাড়াও মাসে ৪৫ দিনের বেতন নেওয়া, নিয়মিতভাবে অফিস না করা সহ নানা বিতর্কে বিতর্কিত তিনি। তাই তাকে অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিস্কার করতে হবে।
সহকারী অধ্যাপক মো নজরুল ইসলাম বলেন, ‘শনিবার ডাইনিং এ রাসেল আমাকে উদ্দেশ্য করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং উপস্থিত অন্য শিক্ষকদের সামনেই আমাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে এবং পরবর্তীতে আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে বলে ‘তোকে যেখানে পাবো সেখানেই মারবো, তোর পেছনে কে আছে দেখে নেবো, তুই যা, দেখি তোর মাইর কে বাঁচায়।’
অভিযুক্ত সামসুল হক ওরফে রাসেল জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্প্রতি নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক শেখ তানজিলা দোলার সাথে মো. নজরুল ইসলামের বিভাগীয় বিষয়ে মতানৈক্য সৃষ্টি হয়। দোলা তার আত্মীয় হওয়ায় নজরুলকে দোলার সাথে কোনো ঝামেলা না করার জন্য অনুরোধ করেন। পরবর্তীতে এই বিষয়ে তার সাথে কথা কাটাকাটির হয়। তবে মারামারির বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক জেহাদ পারভেজ বলেন, ঘটনার পরবর্তীতে ভুক্তভোগী শিক্ষক আমাকে মুঠোফোনে বিষয়টি অবগত করেছেন। আমরা শিক্ষক সমিতি রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারী) একটি সাধারণ সভা আহ্বান করেছি। সেখানে বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত জানান, দাপ্তরিক কাজে তিনি বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছেন। এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।