ট্রেনে হাবিপ্রবি ছাত্রকে টিটির মারধর, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

ট্রেনে হাবিপ্রবির ছাত্রকে টিটির মারধরের ঘটনায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
ট্রেনে হাবিপ্রবির ছাত্রকে টিটির মারধরের ঘটনায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ  © সংগৃহীত

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) আব্দুর রাজ্জাক নামে এক ছাত্রকে মারধরের অভিযোগে দিনাজপুর রেলস্টেশনে ‘একতা এক্সপ্রেস’ ট্রেন অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। আধা ঘণ্টারও বেশি সময় অবরোধ শেষে রাত ৯টার পর দিনাজপুর স্টেশন ছেড়ে যায় একতা এক্সপ্রেস ট্রেনটি।

মারধর ও লাঞ্ছিতের শিকার আব্দুর রাজ্জাক হাবিপ্রবির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে লেভেল-২, সেমিস্টার-১ এর শিক্ষার্থী। তার বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলায়।

রোববার (১১ নভেম্বর) সকাল ১০টায় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা পঞ্চগড়গামী  একতা একপ্রেস ট্রেনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ট্রেনটি দিনাজপুর স্টেশনে রাত ৮টা ৩০মিনিটে পৌঁছালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ট্রেন থামিয়ে এ ঘটনার বিচারের দাবিতে ট্রেন অবরোধ করেন। 

পরে বিশ্ববিদ্যালয় সহকারী প্রক্টর রবিউল ইসলাম, দিনাজপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মমিনুল করিম, কোতোয়ালী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ হোসেন, দিনাজপুর রেলস্টেশনের সুপারিনন্টেন্টে এবিএম জিয়াউর রহমান অবরোধকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মীমাংসায় বসেন। মারধরের ঘটনায় বিচারের আশ্বাস পেয়ে অবরোধ তুলে নেন শিক্ষার্থীরা।

মারধরের শিকার ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ফেসবুক লাইভে এসে জানান, ঢাকা থেকে দিনাজপুর আসার সময় ট্রেনের টিটি তার টিকেট দেখতে চায়। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী টিটিকে ট্রেনের টিকেট দেখায়। তার টিকেটটি ছিল 'চ' বগির আর সে অবস্থান করছিলো 'ঞ' বগিতে।এমতবস্থায় ট্রেনের টিটি শিক্ষার্থীর কাছে টাকা দাবি করে এবং খারাপ ব্যাবহার করে।ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী এমন অবৈধ টাকা দাবির বিপরীতে বলে সে মূলত ভিড়ের কারণে তার নির্ধারিত 'চ' বগিতে যেতে পারেনি। যার কারণে সে 'ঞ' বগিতে অবস্থান করছে। আর সে কাউকে টাকাও দিবেনা।

কথা বলার এক পর্যায়ে ট্রেনের টিটি ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর গায়ে হাত তোলেন এবং মারধর করেন। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী নিজেকে একজন  বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী হিসেবে তার পরিচয় দেয়। কিন্তু কোন কথাতেই কর্ণপাত করেনি নির্যাতনকারী ট্রেনের টিটি। ফেসবুক লাইভে দেখা যায় কিল ঘুষির কারণে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মুখ ফুলে গেছে এবং লাল হয়ে গেছে। এমন খারাপ পরিস্থিতিতে ট্রেনের অন্যান্য যাত্রীরা ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে রক্ষা করে। 

ফেসবুক লাইভে ঐ ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী পুলিশ এবং রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করে। সেই সাথে সে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতাও কামনা করে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আরও বলে নির্যাতনকারী যেন অবশ্যই তার কুকর্মের জন্য শাস্তি পায়, যাতে কোন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী এবং সাধারণ মানুষ এমন হেনস্তার শিকার না হোন। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ওই শিক্ষার্থী পরে জানায় নির্যাতনকারী টিটি'র নাম মতিউর। 

এ ঘটনায় দিনাজপুর স্টেশন সুপার জিয়াউল হক বলেন, এটি একটি অনাকাঙ্খিত ও দু:খজনক ঘটনা। এর সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


সর্বশেষ সংবাদ