দাবি আদায়ে অনড় শিক্ষক সমিতি, শিক্ষার্থীদের হতাশা বাড়ছে

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ফটো

দাবি আদায়ে টানা তৃতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করছেন গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষক সমিতি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাবি পূরণে কোনো আশ্বাস না দেওয়ায় পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাওয়ার আশঙ্কা করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

ছয় দফা দাবি আদায়ে আজ মঙ্গলবার তৃতীয় দিনের মতো সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রেখেছেন বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি।

গতকাল সোমবার শিক্ষকদের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সভা হওয়ার কথা থাকলেও আগামী রবিবারের আগে সভায় বসতে পারবেন না বলে জানা গেছে। এতে রবিবার পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা সবই স্থগিত থাকছে।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, করোনার কারণে প্রতিটি বিভাগই এক থেকে দেড় বছরের সেশনজটে রয়েছে। সামনে পূজার ছুটি। এই অবস্থা ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকায় চরম বিপাকে পড়েছেন তারা।

শিক্ষক সমিতির কর্মবিরতিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করে শিক্ষার্থীরা জানান, আমাদের কথা কে শুনবে? কার কাছে আমরা সমাধান পাবো? দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত ঊর্ধ্বগতিতে একজন শিক্ষার্থী কীভাবে দিন কাটায়? কার কাছে বলবো ৪ বছরের গ্রাজুয়েশন ৫ বছরেও শেষ করতে পারলাম না? কাকে বলবো এই সমস্যা আর কেই বা শুনবে? সেশনজট না কমিয়ে, এখন আবার সব বন্ধ? আমরা যাবো কই প্রশ্ন থাকলো সবার কাছে?

এ বিষয়ে বশেমুরবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. একিউএম মাহবুব বলেন, ‘‘রিজেন্ট বোর্ড কিছু প্রমোশন আটকে দিয়েছে। সবাই কি প্রমোশন পাবে নাকি? যেই আইন আগে ছিলো, সেটি (সাবেক উপাচার্য) নাসিরউদ্দিনের আমলের আইন। রিজেন্ট বোর্ড নাসিরউদ্দিনের আমলের আইন মানতে চাচ্ছে না। গত রিজেন্ট বোর্ড যেটি পাশ করেছে শিক্ষকরা সেটি রিভিউ করতে বলেছে। রিজেন্ট বোর্ড ক্ষেপে গেছে, ৬ মাস হলোনা শিক্ষকরা রিভিউ করতে বলেছে, এটি রিভিউ হবে না। রিজেন্ট বোর্ড যেটি মনে করে সেটির যৌক্তিক কারণ আছে, চ্যান্সেলরও সেটি মানতে পারে।’’

উল্লেখ্য, গত ২৯ সেপ্টেম্বর ৩৬তম রিজেন্ট বোর্ডে শিক্ষক সমিতির দাবি সমূহ অনুমোদিত না হওয়ায় তারা একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ করে কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।


সর্বশেষ সংবাদ