পবিপ্রবির একাডেমিক ভবনে হঠাৎ তালা, ভোগান্তিতে পরীক্ষার্থীরা
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) একাডেমিক ভবনে হঠাৎই তালা দেওয়া হয়, এতে ভোগান্তিতে পরে পরীক্ষার্থীরা। রবিবার (২৭ আগস্ট) দুপুর ১টা ৪০মিনিটে পবিপ্রবির একাডেমিক ভবনের কৃষি অনুষদ, ফিশারিজ অনুষদ, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ সংলগ্ন ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত ৬ আগস্ট ১৩ দফা দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর বরাবর স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়। স্মারকলিপি প্রদানের সময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে দফাগুলো বিবেচনা পূর্বক ৫ কার্যদিবসের মধ্যে সীদ্ধান্ত দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। তবে ১৭ দিন অতিবাহিত হলেও কোনো সীদ্ধান্ত জানানো হয় নাই। আর এ প্রেক্ষিতেই একাডেমিক ভবন সমূহের ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষার্থীরা তাদের দাবির পক্ষে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে এবং পক্ষান্তরে পরীক্ষার্থীদের একাডেমিক ভবনের বাইরে পরীক্ষা উপকরণ নিয়ে অবস্থান করতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন: রাবির আন্তঃবিভাগ প্রতিযোগিতায় বারবার কেন উত্তেজনা-সংঘর্ষ?
পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উপস্থিতিতে তালা ভেঙে পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু করা হয়। এসময় পবিপ্রবি ছাত্রলীগ সভাপতি আরাফাত ইসলাম খান সাগর এবং সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান তারেক আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দাবি আদায়ে তাদের পাশে থাকবেন বলে আশ্বস্ত করেন।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার(অ.দা) ও প্রক্টর প্রফেসর ড. সন্তোষ কুমার বসু বলেন, একাডেমিক ভবনে তালা দেওয়ার কথা শুনে আমি তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে যায় এবং কর্মচারীদের দ্বারা তালা কেটা হয়। তবে যারা এই ঘটনার সাথে জড়িত তাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত বলেন, আমি বিষয়টি অবগত হয়েছি। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে আলোচনা করে যাঁরা পরীক্ষা কার্যক্রমে বাধা প্রদান করে তাদের বিষয়ে সীদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।