‘মাভাবিপ্রবির নিয়োগ পরীক্ষা শেকৃবিতে’ খবরের প্রতিবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের

নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে প্রকাশিত খবর
নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে প্রকাশিত খবর  © ফাইল ছবি

গত ৮ আগস্ট ‘‘মাভাবিপ্রবির শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা শেকৃবিতে, শিক্ষক সমিতির ক্ষোভ’’ শিরোনামে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (মাভাবিপ্রবি) কর্তৃপক্ষ।

প্রতিবাদলিপিতে বিশ্ববিদ্যালয়টি বলেছে, ‘‘প্রচারিত সংবাদে ভাইস-চ্যান্সেলরের বক্তব্য বিকৃত, খণ্ডিত এবং অসম্পূর্ণভাবে প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম দারুনভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে।’’

এতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি (বিএমবি) বিভাগ, ফার্মেসী বিভাগ, অর্থনীতি বিভাগ ও পরিসংখ্যান বিভাগে শিক্ষক সংকটে একাডেমিক কার্যক্রম চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। শিক্ষক সংকট এতোটাই তীব্র যে, শিক্ষক সংকটের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. ফরহাদ হোসেন সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞ হওয়ায় পরিসংখ্যান বিভাগে নিজেও পাঠদান করান।

‘‘সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে, উক্ত ৪টি বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ বাছাই বোর্ড একই দিনে সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ইতোপূর্বে নিয়োগ প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্থ করতে একটি বিশেষ মহল কর্তৃক ক্যাম্পাসে উদ্ধৃত অনাকাঙ্খিত পরিবেশ সৃষ্টির কারণে বায়োকেমিস্ত্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি (বিএমবি) বিভাগ এবং ফার্মেসী বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত মুল্যায়নের তারিখ পরপর দুইবার পরিবর্তন করা হয়েছে। চাকরিপ্রার্থীরা দু’বারই হতাশ হয়ে মাভাবিপ্রবি ক্যাম্পাস থেকে ফিরে গেছেন এবং পরীক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের বিশেষজ্ঞ অধ্যাপকগন খুবই বিব্রত হয়েছেন।’’

এতে বলা হয়, একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করা এবং আবেদনকারীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ঢাকাস্থ অফিসে শিক্ষক নিয়োগের বাছাই বোর্ডের সভার আযোজন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আবেদনকারীদের সংখ্যা বেশি হওয়ায় উক্ত অফিসে লিখিত পরীক্ষার নেয়ার ক্ষেত্রে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় সার্বিক নিরাপত্তা ও পরীক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশের বিষয়টি চিন্তা করে পার্শ্ববর্তী পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়) একটি বড় হলরুমে শুধুমাত্র লিখিত পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত। 

প্রতিবাদলিপিতে আরও বলা হয়, বাছাই প্রক্রিয়ার অন্যান্য ধাপগুলো (প্রেজেন্টেশন ও মৌখিক পরীক্ষা) বিশ্ববিদ্যালয়ের ঢাকাস্থ অফিসেই অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বাছাই বোর্ড, রিজেন্ট বোর্ড সভাসহ বিভিন্ন সভা মাঝে মাঝেই ঢাকাস্থ অফিসেই অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের বক্তব্য: ‘‘মাভাবিপ্রবির শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা শেকৃবিতে নেয়ার বিষয়টি  মাভাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির প্রতিবাদস্বরূপ সংবাদে তুলে ধরা হয়েছে। প্রচারিত সংবাদে উপাচার্যের বক্তব্যও সংযুক্ত ছিলো। এ ধরনের কোনো একটি সত্য ঘটনা বা বিষয়কে খবর হিসেবে তুলে ধরার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে বলে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস মনে করে না।’’

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে দেয়া বক্তব্যে বেশ কর্কশ ভাষা ব্যবহার করেছেন; যা সংবাদে ব্যবহার করা হয়নি। এছাড়া উপাচার্যের বাকি বক্তব্য হুবহু তুলে ধরা হয়েছে। সংবাদটিতে তার দেয়া বক্তব্যের বাইরে কোনো কথা যুক্ত করা হয়নি। প্রচারিত সংবাদটির সার্বিক তথ্যের যথাযথ প্রমাণাদি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের কাছে রয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ