আবরার হত্যাকাণ্ডে আজীবন বহিষ্কৃত বিটুর ক্লাসে ফেরায় বুয়েটে মানববন্ধন
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডে আজীবন বহিষ্কৃত আশিকুল ইসলাম বিটু পুনরায় ক্লাসে অংশগ্রহণ করায় মানববন্ধন করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার (৭ জুলাই) বিকেলে বুয়েট ক্যাম্পাসের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে তারা এ মানববন্ধন পালন করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আমরা কোনভাবেই একজন খুনির সাথে ক্লাস করতে রাজি নই। আবরার ফাহাদ ছিলো বুয়েটে বিরাজমান লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতির ক্ষমতা প্রদর্শনের বলি। আর বিটু সেই সময়কার বুয়েট ছাত্রলীগেরই সহ-সম্পাদক। বিভিন্ন মিটিং মিছিলে যোগ দিতে বাধ্য করা এবং মিছিলে না গেলে রাতের বেলা নির্যাতনের মাধ্যমে শেরে বাংলা হলকে অনিরাপদ করে তুলেছিলো এই অপরাধী। এমনকি এসব সমাবেশের পর যারা যোগ দেয়নি তাদেরকে মাঝরাতে হলের ছাদে তুলে অসহ্য নির্যাতন করার অনেক উদাহরণ রয়েছে এই বিটুর বিরুদ্ধে। এরকম অত্যাচারী ও খুনের দায়ে অভিযুক্ত একজনের পুনরায় বুয়েট ক্যাম্পাসে ফিরে আসায় সকল সাধারণ শিক্ষার্থী শঙ্কিত ও ক্ষুব্ধ। আমরা আশা করছি যে, দ্রুততম সময়ে তার কোর্স রেজিস্ট্রেশন বাতিলসহ সকল একাডেমিক কার্যক্রম বাতিল করে পুনরায় ক্যাম্পাসকে নিরাপদ করে তোলা হবে।
আরও পড়ুন: পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
বক্তারা বলেন, দ্রুততম সময়ে বিটুর কোর্স রেজিস্ট্রেশন বাতিলসহ সকল একাডেমিক কার্যক্রম বাতিল করে পুনরায় ক্যাম্পাসকে নিরাপদ করে তোলা হবে। একইসঙ্গে বুয়েট শিক্ষার্থীদের নিয়ে বেশকিছু সাম্প্রতিক ঘটনায় দেশব্যাপী বুয়েটের লেজড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি এবং মৌলবাদ মুক্ত পরিবেশ নিয়ে বিভিন্ন আলচনা এবং গুজবের সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে সকল সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে আমাদের সুস্পষ্ট অবস্থান জানানো হবে আগামীকাল (মঙ্গলবার) দুপুুরে।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে আবরার ফাহাদ হত্যার প্রায় দেড়মাস পরে ২৬ জনকে আজীবন বহিষ্কার করে নোটিশ দেয় বুয়েট কর্তৃপক্ষ। যাতে বিটুর নামও ছিলো। কিন্তু হঠাৎ করেই গতকাল রবিবার (৬ আগস্ট) তাকে পুনরায় কেমিক্যাল ১৯ ব্যাচ এর সাথে ক্লাসে দেখা যায়।
এর আগেও ২০২১ সালে মে মাসে আদালত থেকে স্থগিতাদেশ এনে ডিপার্টমেন্ট অফিসে যোগাযোগ করে লেভেল-৩ টার্ম-১ এর অন্তত চারটি কোর্সে রেজিষ্ট্রেশন করে ক্লাসে ফেরার চেষ্টা করে। যা তৎকালীন শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদের মুখে সফল হয়নি।