বুটেক্সে হেনস্তার শিকার সাবেক শিক্ষার্থী সাংবাদিক

বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়
বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ছবি

বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় (বুটেক্স) সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি ও দৈনিক কালবেলার মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার মেহেদী হাসানকে হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (২৫ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশকালে হামলার শিকার হন তিনি।

মেহেদী হাসান বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল ফ্যাশন অ্যান্ড ডিজাইন বিভাগের ৪৩ তম ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থী। এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিনি।

অভিযুক্তরা হলেন- বুটেক্স শাখা ছাত্রলীগের সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপ-সম্পাদক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ৪৪ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী কৌশিক বাড়ৈ, সাবেক সহ-সম্পাদক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪৪ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী অনিক সাদমান, সাবেক সহ-সম্পাদক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাপারেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী জাকারিয়া বিন হোসেনসহ আরও ১০ থেকে ১৫ জন। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলাম টিপুর অনুসারী বলে জানা গেছে।

ভুক্তভোগী মেহেদী জানান, প্রয়োজনীয় কাজে বিশ্ববিদ্যালয় প্রবেশকালে শাখা ছাত্রলীগের সাবেক উপ-প্রচার সম্পাদক শামসুল আলম অন্তর (৪৪তম ব্যাচ) তার বাইক আটকায় এবং গতকাল মেহেদী হাসানের সহকর্মী আকরাম হোসেন ছাত্রলীগ দ্বারা হামলার শিকার হওয়া নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেয়ার বিষয়ে তার সাথে বাক-বিতণ্ডা শুরু করে। 

পরে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে এলে ছাত্রলীগের কর্মীরা তাকে জোর করে বুটেক্স ছাত্রলীগের কার্যালয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলাম টিপু ও সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল্লাহ জয়-এর সামনে নিয়ে যায়। সেখানে ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের সামনে তার ওপর মানসিক নির্যাতন চালানো হয়। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত কৌশিক বাড়ৈ বলেন, “ঘটনার সময় আমি সেখানে ছিলাম, তবে মেহেদীকে কোনো হেনস্থা করা হয়নি।”

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলাম বলেন, “অভিযুক্তরা বুটেক্স ছাত্রলীগের কর্মী নয়। এর দায়ভার ছাত্রলীগ বহন করবে না।”

এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান, সাংবাদিক মেহেদী লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ঘটনা তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।