শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের আরও ২ জনকে হল থেকে বহিষ্কার, নিষিদ্ধ ১
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আরও দুই কর্মীকে হল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি শাহপরান হলের আবাসিক দেলোয়ার হোসেন নামে এক শিক্ষার্থীকে হল থেকে বের করে দেয়ার দায়ে তাদের এ শাস্তি দেওয়া হয়েছে। একই অভিযোগে আরও একজনকে হলে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
বুধবার (০১ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. ফজলুর রহমান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বহিষ্কৃত দুজন হলে- নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী সাদ্দাম হোসেন পিয়াস ও সমাজকর্ম বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান।
এর আগে র্যাগিংয়ের দায়ে গত ২২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছিল। বহিষ্কৃত সবাই ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মুজতবা আলী হলের ১১১ নম্বর কক্ষে ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের ১০ থেকে ১৩ জন শিক্ষার্থীকে ডেকে র্যাগিং দেয় বলে একই বিভাগের প্রথম বর্ষের অভিযোগকারী শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন। পরে তাদের এ ৫ জনকে বহিষ্কারা করা হয়।
আরও পড়ুন: র্যাগিংয়ের তদন্ত চলাকালেই হলছাড়া শাবিপ্রবির আরও এক ছাত্র
এ র্যাগিংয়ের তদন্তচলাকালেই গত ২৪ ফেব্রুয়ারি দেলোয়ার হোসেনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহপরান হল থেকে বের করে দেন বহিষ্কৃত সাদ্দাম হোসেন পিয়াস ও আশিকুর রহমান।
এ ঘটনায় নতুন করে দুইজনকে বহিষ্কার ছাড়াও অপরজন আবাসিক শিক্ষার্থী না হওয়ায় তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক ও সিএসই বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী ইফতেখার আহমেদ রানা।
বহিষ্কৃত ও নিষিদ্ধদের সবাই ছাত্রলীগ নেতা আসরাফ কামাল আরিফের অনুসারী ছিলেন। আরিফ ক্যাম্পাস ছেড়ে বিদেশে পাড়ি দেয়ায় বর্তমানে তারা ছাত্রলীগ নেতা সুমন মিয়াসহ ৫ নেতার নেতৃত্বে সম্মিলিতভাবে সেই গ্রুপ চালাচ্ছেন।
এ ঘটনায় অধিকতর তদন্তের জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. ফজলুর রহমান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে কমিটির সদস্য এখনো ফাইনাল করা হয়নি। ফাইনাল করা হলে কমিটিতে কে কে আছেন তা জানা যাবে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি মো. দেলোয়ার হোসেন নামের এক আবাসিক শিক্ষার্থীকে শাহপরান হল থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ উঠে সাদ্দাম হোসেন পিয়াস, আশিকুর রহমান, ইফতেখার আহমেদ রানাসহ কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় হলের প্রভোস্ট বরাবর একটি অভিযোগ পত্র জমা দেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। এরই প্রেক্ষিতে ২ জনকে বহিষ্কার ও ১ জনকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।