নোবিপ্রবিতে শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রের উদ্বোধন
- নোবিপ্রবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২২, ১১:৫৬ PM , আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২২, ১১:৫৬ PM
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রের ( ডে- কেয়ার) উদ্ভোধন করা হয়েছে।বুধবার (১৪ ই ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা আবাসিক ভবনের ২য় তলায় শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ছেলে-মেয়েদের জন্য এ শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রের (শিশুকুন্জ্ঞের) উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ দিদার-উল-আলম।
শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ড. খন্দকার ফাহমিদা সুলতানার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল বাকী, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদ এবং বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান ও অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ।
শিক্ষক-শিক্ষিকারা জানান, একটি শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রটি আমাদের বাচ্চাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার আগে আমরা আমাদের বাচ্চাদেরকে শহরের একটা শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রে রেখে আসতে হয় কিন্তু আমরা তখনও চিন্তিত থাকি। যেহেতু এখন আমরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র পেয়েছি আমরা নিশ্চিন্তে বাচ্চাদের রেখে আমাদের ক্লাসগুলো ভালোভাবে নিতে পারবো। এখন পর্যন্ত শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রে বাচ্চার সংখ্যা ২০ ছাড়িয়ে গেছে। তবে যদি এখানে একটি বিদ্যালয়ও প্রতিষ্ঠা করা যায় তাহলে আমরা শিক্ষকদের আবাসিক ভবনে থাকা শুরু করতে পারতাম।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদ বলেন, আমার পছন্দের একটি দিক হলো কমিউনিটি সার্ভিস। এই ডে-কেয়ারের মাধ্যমে আরেকটি দ্বার উন্মোচিত হলো। আমরা জানি বাচ্চা নিয়ে বাবা মাদের কত কষ্ট করতে হয়। বিশেষ করে যারা চাকুরিজীবী তাদের অনেক কষ্ট হয়। শিক্ষক-কর্মকর্তাদের প্রাণের দাবি ছিল একটি শিশুকুঞ্জের। আমরা এই শিশুকুঞ্জটিকে একটি মডেল শিশুকুঞ্জে পরিণত করতে চাই।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, একটি শিশুকুঞ্জ তৈরি করার জন্য আমরা অনেক আগে থেকেই পরিকল্পনা করেছিলাম সেই অনুযায়ী একটি কমিটি ও তৈরী করি যারা ঢাকার বিভিন্ন ডে-কেয়ারগুলো পরিদর্শন করে সেই অনুযায়ী একটি শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করে। কিন্তু করোনা মহামারির জন্য আমরা পিছিয়ে যাই। অবশেষে আমরা এই শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র তৈরী করতে সক্ষম হই। যারা এর পেছনে শ্রম দিয়েছেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই।
উপ-উপাচার্য ড. মোহাম্মদ আব্দুল বাকী বলেন, বিশেষ করে বাবা- মা যে যখনই সময় পাই তখনই যেন বাচ্চাদের দেখে যাই। যখন বাচ্চাদের দেখতে আসব পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি আমাদের দেখতে হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. দিদারুল আলম বলেন, শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রটি খুবই দরকারি ছিল। রুমের ডেকোরেশন দেখে আমার মনটা অন্যরকম হয়ে গেছে। শহরে যে শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র আছে তার থেকে অনেক ভালো হবে আশাকরি। তিনি শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন।