শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের থেকে প্রথম ভিসি অধ্যাপক জহিরুল হক

অধ্যাপক মোহাম্মদ জহিরুল হক
অধ্যাপক মোহাম্মদ জহিরুল হক  © সংগৃহীত

সিলেটের মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ জহিরুল হক। 

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তাঁকে এ পদে নিয়োগ দিয়েছেন। এ বিষয়ে বুধবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এতে প্রথমবারের মতো শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থী উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. ফরহাদ হোসেন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০-এর ৩১(১) ধারা অনুযায়ী তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত বেতনভাতা প্রাপ্য হবেন এবং পদসংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন। উপাচার্য হিসেবে তাঁর নিয়োগের মেয়াদ হবে চার বছর। 

অধ্যাপক মোহাম্মদ জহিরুল হক সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মো. সালেহ উদ্দিনের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন। সালেহ উদ্দিন শাবিপ্রবির দুবারের সাবেক উপাচার্য। এর আগে মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য হিসেবে শাবিপ্রবির সাবেক উপাচার্য মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান দায়িত্ব পালন করেন। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য হিসেবে শাবিপ্রবির সাবেক কোষাধ্যক্ষ ও ভাষাসংগ্রামী মো. আবদুল আজিজও দায়িত্ব পালন করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পাওয়া অধ্যাপক জহিরুল শাবিপ্রবির প্রথম শিক্ষার্থী হিসেবে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিযুক্ত হলেন। তিনি হবিগঞ্জ পৌর শহরের শায়েস্তানগর এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন। ২০০৯ সালে শাবিপ্রবির প্রথম শিক্ষার্থী হিসেবে কমনওয়েলথ স্কলারশিপ নিয়ে যুক্তরাজ্যে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে আবার কমনওয়েলথ স্কলারশিপ পেয়ে ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে ২০১৮ সালে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি বিভিন্ন ধরনের সামাজিক, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত আছেন।

নিজের অনুভূতি জানিয়ে নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক জহিরুল হক বলেন, আজকে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি সিলেটের  উপাচার্য হিসেবে আমাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সাস্টিয়ান হিসেবে প্রথম বারের মত শাবিপ্রবির কোনো শিক্ষার্থী উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেতে যাচ্ছে। এটি আমার জন্য অত্যন্ত আনন্দের।

তিনি আরও বলেন, আমার জানা মতে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যদের মধ্যে আমিই সর্বকনিষ্ঠ উপাচার্য হতে যাচ্ছি। এতে নিজের মধ্যে অন্যরকম একটি অনুভূতি কাজ করছে। তবে আমি যেহেতু এ বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত আছি, তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমতি ও ছুটি প্রয়োজন। এ দায়িত্ব পালনে সবার সহযোগিতা কামনা করছি।


সর্বশেষ সংবাদ