ভর্তি পরীক্ষাও সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে হওয়া যৌক্তিক: শিক্ষামন্ত্রী (ভিডিও)

  © টিডিসি ফটো

করোনার কারণে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে ২০২১ সালের এইচএসসির গণ্ডি পেরোনো শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষা ওই সংক্ষিপ্ত কারিকুলামের মধ্যে রাখার পক্ষে মত দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

আজ রবিবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে আলোচনা চলার কথাও বলেন তিনি।

এক প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষা যে সিলেবাসে হয়েছে, আমাদের মতামত হল, ঠিক সেই সিলেবাসের উপর এই ভর্তি পরীক্ষাগুলো হওয়া যৌক্তিক এবং সেটিই সঠিক। কাজেই এর বাইরে আমরা মনে করি না যে, অন্য কেউ করবেন। যদি কেউ করতে চান, আমরা তাদেরকে অনুরোধ করব…।

এবার শিক্ষার্থীরা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে এইচএসসি পেরোলেও পুরো সিলেবাসেই ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার কথা ভাবছে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়। তবে শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, যে সিলেবাসে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় বসেছে, সে অনুযায়ী ভর্তি পরীক্ষা না হলে তাদের প্রতি ‘সুবিচার করা হবে না’।

মেডিকেল ভর্তি সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে নেওয়ার বিষয়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগ ও বিএমডিসির সঙ্গে আলোচনা হওয়ার কথা বললেও এ বিষয়ে তাদের সিদ্ধান্ত কী, সেটা খোলাসা করেননি ডা. দীপু মনি।

গুচ্ছ পদ্ধতিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি পরীক্ষা আয়োজকরা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে নেওয়ার বিষয়ে একমত হয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গুচ্ছ পদ্ধতিতে করছে, তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারাও একমত।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ গুচ্ছ পদ্ধতির বাইরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গেও ভর্তি পরীক্ষার সিলেবাস নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী।

তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কিছুটা কথা হয়েছে। তারাও এই বিষয়ে তাদের সিদ্ধান্ত জানাবেন। এবং অন্যান্য যারা গুচ্ছ পদ্ধতিতে আসেননি, চারটি-পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয় তারাও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।

রেকর্ড সংখ্যক শিক্ষার্থী পাস করলেও উচ্চশিক্ষায় ভর্তিতে আসন সংকট হবে না মন্তব্য করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এখান থেকে কেউ উচ্চশিক্ষায় যাবেন, অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবেন, কেউ এখনই কাজে চলে যাবেন। কেউ কারিগরি শিক্ষায় যাবেন। আমাদের একেবারেই মনে হয় না, আসন সংকট হবে।

“আমাদের যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আছে, সেখানে এবং যে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হচ্ছে, সেগুলোর মধ্যে এবং অন্যান্য যে কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো আছে, সেগুলোতে… সব মিলিয়ে কিন্তু আমাদের অনেক কলেজ আছে দেশে।”

প্রায় আড়াই হাজার বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ডিগ্রি দেওয়ার তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, “কোথাও কোথাও অনার্স-মাস্টার্সও হয়। সেখানে তাদের ভর্তি করা যাবে। আমরা প্রতিবছরই দেখি, অনেক সিট আসলে খালি থেকে যায়। কাজেই কোনো আসন সংখ্যার সমস্যা হবে না।”