৭৭৭ শিক্ষকের চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি
কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিটিই) স্টেপ প্রকল্পের অধীনে নিযুক্ত ৭৭৭ জন শিক্ষকের চাকরি দ্রুত রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের দাবি জানিয়েছে প্রকল্পের আওতাধীন কর্মরত শিক্ষকরা। এছাড়া শিক্ষকরা ১৯ মাসের বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধেরও দাবি জানান তারা। ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, কারিগরি শাখার’ ব্যানারে অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে আয়োজিত এক অবস্থান কর্মসূচি থেকে তারা এসব দাবি জানান। কর্মসূচিতে অন্তত ৪০ জন পলিটেকনিক শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন
আরও পড়ুন: বাড়তে পারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি
সংগঠনের সভাপতি মো. সুমন হায়দারের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ওমর ফারুকের সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা প্রকৌশল পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম আব্দুল মোতালেব, কেনিক আইডিবির সাধারণ সম্পাদক শামসুর রহমান, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা মো. ইদ্রিস আলী, কিশোরগঞ্জ জেলার নিকলি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মো. গোলাম রহমান প্রমুখ। এছাড়া কর্মসূচিতে অন্তত ৪০ জন পলিটেকনিক শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন।
প্রসঙ্গত, ‘ডিটিই’ প্রকল্পটি ২০১৯ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত চালু ছিল। কিন্তু ওই প্রকল্পটি শেষ হওয়ার দিন প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদিত অনুশাসনের আলোকে স্টেপ প্রকল্পে নিযুক্ত ৭৮৬ জন শিক্ষককে সাময়িকভাবে বহালরেখে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
আরও পড়ুন: আজ সন্ধ্যায় বাসায় ফিরছেন খালেদা জিয়া
২০১৯ সালের ১৪ জুলাই শিক্ষা মন্ত্রণালয়, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ ওই ৭৮৬ জন শিক্ষকের চাকরি রাজস্বখাতে স্থানান্তরের প্রস্তাব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের জন্য প্রেরণ করে। প্রকল্প থেকে রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতার কারণে স্টেপ প্রকল্পের অধীনে নিযুক্ত বর্তমানে কর্মরত ৭৭৭ জন শিক্ষক গত ১৯ মাস ধরে কোন বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না। এই অবস্থায় পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন তারা।