শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা হচ্ছে

শিক্ষার্থী
শিক্ষার্থী  © ফাইল ছবি

স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে করোনা সংক্রমণের হার উর্ধমুখী হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হতে পারে। শিগগিরই এই বিষয়ে বৈঠকে বসবেন করোনা মোকাবেলায় গঠিত জাতীয় টেকনিক্যাল কমিটির সদস্যরা। বৈঠকে স্কুল-কলেজ খোলার বিষয় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, আন্ত:মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় সিদ্ধান্তটি পুনর্বিবেচনা করা হবে। ৩০ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণা দেয়া হলেও ওইদিন শবে বরাতের ছুটি থাকায় নির্ধারিত সময়ে স্কুল-কলেজ খুলছে না। স্কুল-কলেজ খোলার বিষয়ে আগামী দুই-তিনদিনের মধ্যেই টেকনিক্যাল কমিটির বৈঠক হবে। সেখানে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে কিনা এই বিষয়ে জাতীয় টেকনিক্যাল কমিটির সদস্যরা সিদ্ধান্ত নেবেন। তাদের সিদ্ধান্ত আমরা বাস্তবায়ন করব। তবে আমরা শিক্ষার্থীদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে চাই না।

এদিকে চলমান পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি রোজার ঈদ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হতে পারে। শিক্ষার্থীদের জীবনের কথা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে বলে জানা গেছে।

এ প্রসঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত হবে আত্মঘাতী। স্কুল-কলেজ খোলার পর করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে সমালোচনার মুখে পড়তে চায় না মন্ত্রণালয়। সেজন্য চলমান ছুটি আরও বাড়ানোর চিন্তা ভাবনা করছে মন্ত্রণালয়।

এর আগে গত, ২৭ ফেব্রুয়ারি আন্ত:মন্ত্রণালয়ের বৈঠক শেষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণা দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। স্কুল-কলেজ খোলার ঘোষণা দেয়া হলেও প্রাক-প্রাথমিক বন্ধই থাকবে বলে জানানো হয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হলেও শুরুতে এসএসসি ও সমমমান ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের নিয়মিত পাঠদানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এক্ষেত্রে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের সপ্তাহে ছয়দিন এবং অন্যান্য শ্রেণির ক্ষেত্রে সপ্তাহে একদিন ক্লাস নেয়া হবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।

প্রসঙ্গত, করোনার বিস্তার রোধে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। কয়েক দফায় ছুটি বাড়িয়ে আগামী ২৯ মার্চ পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হয়েছে। ৩০ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত হলেও ওইদিন শবে বরাতের সরকারি ছুটি রয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ