এসএসসিতে ইসলাম শিক্ষা বাদের সিদ্ধান্ত হয়নি: শিক্ষা মন্ত্রণালয়

  © লোগো

এসএসসি পরীক্ষায় ইসলাম শিক্ষা বাদ দেওয়ার বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা মন্ত্রণালয়ে সংশ্লিষ্ট কেউ এ ধরনের কোনো মন্তব্য করেননি। এ ধরনের সংবাদ ভিত্তিহীন ও গুজব বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার (৩০ নভেম্বর) মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকায় ২৯ নভেম্বর, ২০২০ তারিখে ‘শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দেশের মুসলিম জাতিসত্তার জন্য অশনিসংকেত’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদে জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়ার সম্মেলনে ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের আমীর ড. ঈশা শাহেদী শিক্ষামন্ত্রীর বরাত দিয়ে দাবি করেছেন মাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে ইসলাম শিক্ষাকে বাদ দেয়া হবে। যা ভিত্তিহীন ও গুজব। বস্তুতপক্ষে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কেউ কখনই মাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে ইসলাম শিক্ষা বাদ দেয়া হবে মর্মে মন্তব্য করেননি। তাই এ ধরনের গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকার জন্য সকলকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হল।

এদিকে, রবিবার (২৯ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে ইসলামী আন্দোলনের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, এসএসসির মত গুরুত্বপূর্ণ একটি পাবলিক পরীক্ষায় ইসলাম শিক্ষা না থাকলে জাতীয়ভাবে তার গুরুত্ব থাকে না। পাকিস্তান আমল থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত ইসলাম শিক্ষা পাবলিক পরীক্ষায় গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া হয়েছে। তবে কাদের পরামর্শে পাবলিক পরীক্ষা থেকে তা বাদ দেওয়া হচ্ছে জাতি তা জানতে চায়।

মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, পাবলিক পরীক্ষায় ইসলাম শিক্ষা পূর্বেও ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে। ষড়যন্ত্রকারীদের পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দেওয়া হবে। দেশের মাত্র শতকরা ৮/১০ ভাগ ছেলে-মেয়ে মাদ্রাসায় পড়ে। বাকি ৯০/৯২ ভাগ পড়ে স্কুলে। শিক্ষামন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী যদি মাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে ইসলাম শিক্ষাকে বাদ দেওয়া হয় তা হবে আমাদের শিক্ষিত যুব সমাজ ও নতুন প্রজন্মকে ইসলাম থেকে দূরে সরানো গভীর ষড়যন্ত্র। এ দেশের জনগণ মাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে ইসলাম শিক্ষা বাদ দেয়ার ষড়যন্ত্র যেকোনও মূল্যে রুখে দেবে।


সর্বশেষ সংবাদ