আগামী বছরের এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষা যথাসময়ে: শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি  © ফাইল ফটো

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘আগামী বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে আরও পরে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। তবে সব নির্ভর কোভিড পরিস্থিতির ওপরে। আমরা যথাসময়ে পরীক্ষা নেয়ার চেষ্টা করবো। এজন্য যার যেখানে অ্যাকসেস আছে ধরে রাখতে হবে। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হবে। প্রয়োজন হলে আরও পরে হবে, তবে পরীক্ষা হবে। আশা করছি, আগামী বছর করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ভালো হবে। সে আলো পরীক্ষার জন্য সবাইকে প্রস্তুতি নিতে হবে।’

আজ বুধবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। চলতি বছরের বার্ষিক পরীক্ষা নিয়ে সিদ্ধান্ত জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের ডাকেন শিক্ষামন্ত্রী। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে চলতি বছরের মাধ্যমিক পর্যায়ে নতুন পদ্ধতির এক মাসের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রণয়ন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সে অনুযায়ী, মাধ্যমিকে চারটি সাপ্তাহিক অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে পরবর্তী ক্লাসে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। মাধ্যমিকে এবারের বার্ষিক পরীক্ষাও বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা বলেছি, এ বছর কোন পরীক্ষা নয়। এই মূল্যায়নটা শিক্ষার্থীদের অবস্থাটা বোঝার জন্য। তাদের দুর্বলতা জানার জন্য। এ বছর বার্ষিক পরীক্ষা হচ্ছে না।’

ডা. দীপু মনি বলেন, ‘পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণ হতে যতটুকু পঠক প্রয়োজন সে বিবেচনায় এই সিলেবাস প্রণয়ন করা হয়েছে। এটি অতিরিক্ত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আশা করছি, সবাই শিখন ফল অর্জন করতে পারবে। এর উপরেই অ্যাসাইনমেন্ট দেয়া হয়েছে। কাজেই শিক্ষকদের দক্ষতা আছে কি নেই, তা তফাত করবে কিনা মনে করছি না।

তিনি বলেন, ‘মূল্যায়নের কোন চাপ সৃষ্টি করা হবে না। সার্বিক দিক বিবেচনা করে এনসিটিবি ৩০ কর্মদিবসের সিলেবাস প্রণয়ন করেছে। এগুলো পরবর্তী ক্লাসের জন্য কাজ করবে। সব প্রধান শিক্ষকের নিকট এটি পাঠাবো হবে। এ সংক্রান্ত অ্যাসাইনমেন্ট পৌছে দেয়া হবে। শিক্ষার্থীরা প্রতি সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট শেষ করবে। এগুলো অনলাইনেও নেয়া যাবে। এ সময়ে অন্য কোন কার্যক্রম চলবে না। শিক্ষার্থীদের যেখানে দুর্বলতা থাকবে, সেগুলো পরবর্তী শ্রেণির ক্লাসে পূরণ করা হবে।’

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘গত মার্চে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের পর টেলিভিশন ও অনলাইনে ক্লাস চালু করেছি। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেও অনলাইনে ক্লাস শুরু হয়েছে। সবাই এর উন্নতিতে কাজ করছে। তবে এটা ঠিক, সবার প্রয়োজনীয় ডিভাইস না থাকায় সমস্যা থাকছে। তবে শিক্ষকরা মোবাইলে খোঁজ-খবর নিচ্ছে। সবার কাছে নতুন বই আছে।’

তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের সহযোগিতার মনোভাব ও ক্লাসে আগ্রহ আছে। একজনের ডিভাইসে বন্ধুরাও পড়ার সুযোগ পাচ্ছে। নভেম্বরের মধ্যে অনেকে সিলেবাস শেষ করতে পারবে। বেশিরভাগ শিক্ষার্থী পাঠ্যবই পড়তে পারবে। তাদের মূল্যায়নের ব্যবস্থা করা হবে। যাদের অ্যাকসেস ছিল না, তাদেরও ক্ষতি পুষিয়ে দেয়ার সুযোগ দেয়া হবে। নানাভাবে তাদের গ্যাপগুলো পূরণ করা হবে।’