মোবাইল ব্যাংকিংয়ে বেতন পাবেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ৩০ আগস্ট ২০২০, ০৮:০৭ AM , আপডেট: ৩০ আগস্ট ২০২০, ০৮:২৬ AM
নতুন সিস্টেমে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সে মোতাবেক প্রায় পাঁচ লাখ শিক্ষকের মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে বেতন দেওয়া হবে। বেতনের ক্ষেত্রে দ্রুত, সহজ ও ব্যাংকের ঝামেলা এড়াতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ২০০ কোটি টাকা।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এবং অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। সুবিধাটি পেতে শিক্ষকদের মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। অ্যাকাউন্টের তালিকা যাচাই-বাছাই করে তাতে টাকা পাঠাবে অর্থ মন্ত্রণালয়।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন আরো দ্রুত ও সহজ করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। সে জন্য মোবাইল ব্যাংকিংয়ে টাকা পাঠানোর বিষয়ে কাজ চলছে। এটা প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।’
গত অক্টোবরে নতুন দুই হাজার ৭৩০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৩০ হাজার। শিক্ষক রয়েছেন প্রায় চার লাখ ৯৬ হাজার। এমপিওভুক্ত এসব শিক্ষকের বেতন ব্যাংকে দেওয়া হয়। চেকের মাধ্যমে ব্যাংকে এ টাকা ছাড় করে অর্থ মন্ত্রণালয়। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে, ব্যাংকগুলো ওই টাকা ছাড়ে গড়িমসি করে।
এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে সরাসরি শিক্ষকদের টাকা পাঠানোর পরিকল্পনা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে শিক্ষকদের মোবাইল ব্যাংকিংয়ে অ্যাকাউন্ট খোলার নির্দেশনা দিতে পারে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। সবার অ্যাকাউন্ট খোলা হলে তালিকা অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। অর্থ মন্ত্রণালয় তালিকায় থাকা নামের সঙ্গে, মোবাইল নম্বর, এনআইডির তথ্য নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সার্ভারের সঙ্গে মিলিয়ে দেখবে। এ প্রক্রিয়া শেষ হলে টাকা পাঠানোর কাজ শুরু হবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘এরই মধ্যে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির বিভিন্ন ভাতা আমরা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছি। এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন দেওয়া নিয়েও কাজ চলছে।’
জানা গেছে, ২০২০-২১ অর্থবছরের এমপিওভুক্ত খাতে বরাদ্দ প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা। শুধু এমপিওভুক্তিতে বরাদ্দ রয়েছে প্রায় ১১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এর পুরোটাই মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পাঠানো হবে। সরকারের ১০০ টাকা পাঠাতে খরচ হবে ৭০-৮০ পয়সা। সব মিলিয়ে সরকারের খরচ পড়বে অন্তত ২০০ কোটি টাকা।