সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি নিয়ে ছয় হাজার মতামত, পরামর্শের সঙ্গে আছে উদ্বেগও
প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অধ্যাদেশের খসড়া বিষয় সর্বসাধারণের মতামত আহবানের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও সুধীজনের কাছ থেকে ছয় হাজারেরও অধিক বিভিন্ন ধরনের মতামত এসেছে। এতে গঠনমূলক পরামর্শের পাশাপাশি কিছু বিষয়ে উদ্বেগও প্রকাশিত হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ প্রত্যেকের মতামত ও উদ্বেগ অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করছে বলে আজ বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মানসম্মত শিক্ষা, সময়সমতো পরীক্ষা গ্রহণ ও ফল প্রকাশ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক চাহিদার প্রেক্ষিতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের অংশ হিসেবে ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অধ্যাদেশ এর খসড়া প্রণয়ন করে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে প্রেরণ করেছে। উক্ত খসড়া বিষয়েই উল্লিখিত মতামত গ্রহণ করা হয়েছে।
দেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থায় বিষয়টির গুরুত্ব এবং সম্পৃক্ত অংশীজনের পরিধি ও বিভিন্নতা বিবেচনায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ সম্পূর্ণ বস্তুনিষ্ঠভাবে এবং বিধিবদ্ধ প্রক্রিয়া ও ধাপসমূহ অনুসরণ করে অধ্যাদেশের খসড়া চূড়ান্তকরণের কাজ পরিচালনা করছে। এ প্রক্রিয়াটি সময়সাপেক্ষ হলেও, এর মাধ্যমে সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য ও সমন্বিত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব হবে বলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ বিশ্বাস করে।
আরও পড়ুন: ৪৯তম বিসিএস প্রিলির ফল হতে পারে কাল
এতে আরও বলা হয়েছে, অনলাইনে ও সরাসরি প্রাপ্ত মতামত পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় ইতোমধ্যে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, শিক্ষাবিদ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিগণের সাথে মতবিনিময় সভার সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রত্যক্ষ মতবিনিময় সভায় প্রাপ্ত মতামতসমূহ হতেও যথাযথ খসড়া প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ দিক-নির্দেশনা পাওয়া যাবে বলে মন্ত্রণালয় আশা করছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ অবস্থান থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক নির্বিশেষে সকল অংশীজনের ন্যায্য স্বার্থ রক্ষা এবং দেশের উচ্চ শিক্ষা ব্যবস্থার মানোন্নয়নে ইতিবাচক অ্যাকাডেমিক পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যকে সামনে রেখে একটি সুনির্দিষ্ট পথ-নকশার ভিত্তিতে কাজ করে যাচ্ছে। এ প্রক্রিয়ায় কর্মরত শিক্ষকগণের পদ সংরক্ষণ, কলেজের স্বাতন্ত্র, সম্পদের ব্যবস্থাপনা এবং উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য অন্তবর্তীকালীন ব্যবস্থাপনাসহ প্রাসঙ্গিক বিষয়ে মন্ত্রণালয় সম্পূর্ণ সচেতন ও সংবেদনশীল।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ প্রত্যাশা করে, ব্যক্তিগত ধারণা, অসমর্থিত বা অসম্পূর্ণ তথ্যের ভিত্তিতে পারস্পরিক দ্বন্দ্ব পরিহার করে সকলে দায়িত্বশীল আচরণ করবেন এবং শিক্ষা কার্যক্রমকে কোনভাবেই ব্যহত করবেন না। মানসম্মত, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলাই সম্মিলিত অঙ্গীকার বলে এতে উল্লেখ করা হয়েছে।