১৯ জুন ২০২৫, ১৬:৪৪

এবার বিশেষ কাগজে বই ছাপাবে এনসিটিবি, খরচ কমছে ৫০০ কোটি

ফাইল ছবি  © টিডিসি সম্পাদিত

নতুন শিক্ষাবর্ষে প্রায় ৩০ কোটি পাঠ্যবই ছাপানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। বিগত বছরগুলোতে দরপত্রের স্পেসিফিকেশন (নির্ধারিত মান) অনুযায়ী না হওয়ায় এবং নিম্নমানের কাগজের বই ছাপানো এড়াতে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে বিশেষ কাগজে বই ছাপানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনসিটিবি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এনসিটিবির প্রধান সম্পাদক মুহাম্মদ ফাতিহুল কাদীর। এ ছাড়া নতুন শিক্ষাবর্ষে মাধ্যমিক ও প্রাথমিকের বই ছাপাতে গত বছর তুলনায় প্রায় ৫০০ কোটি খরচ কমছে বলে জানা গেছে।

দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে মুহাম্মদ ফাতিহুল কাদীর বলেন, বই ছাপাতে এনসিটিবি যে চাহিদা দিয়ে থাকে; তা নিয়ে অনেক সময় প্রশ্ন থেকে যায়। তাই নতুন শিক্ষাবর্ষে বইগুলো বিশেষ কাগজে এবং এক কালারে বই ছাপানো হবে। মন্ত্রণালয়ে আলোচনা করে কারখানাকে কাজ দেওয়া হবে। এনসিটিবির জন্যই আলাদাভাবে কারখানা কাগজ রেডি করবে। 

বই প্রেসে যাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণির বইয়ের টেন্ডারের মূল্যায়নের কাজ চলমান রয়েছে। মূল্যায়নের পরই বই প্রেসে যাবে। মিটিংয়ের পর তারিখ জানানো হবে। এ ছাড়া প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় শ্রেণির বইয়ের টেন্ডার ওপেন বা প্রকাশ হবে, পরে মূল্যায়ন হবে এবং প্রেসে যাবে। ধাপে ধাপে জুনের মধ্যেই টেন্ডার কার্যক্রম শেষ করা হবে। তিনি আরও বলেন, নতুন বর্ষের পাঠ্যবইয়ে কোনো কারিকুলাম পরিবর্তন হচ্ছে না। নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে অর্থ্যাৎ ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সারাদেশের ৫৮৫ বিতরণ কেন্দ্রে বই পৌঁছানো হবে। 

আরও পড়ুন: দুর্নীতি-অনিয়ম খুঁজতে ২৫০০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিদর্শনের পরিকল্পনা ডিআইএর

এনসিটিবির উৎপাদন ও বিতরণ শাখা সূত্রে জানা গেছে, নতুন শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিকে প্রায় সাড়ে ৮ কোটি ও মাধ্যমিকে প্রায় ২১ কোটি বই ছাপানো হবে। আর ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রায় ৪০ কোটি বই ছাপানো হয়েছিল। এবার প্রায় ১০ কোটি কমে প্রায় ৩০ কোটিতে নেমেছে। ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে ১০ম শ্রেণির জন্য প্রায় ৫ কোটি ও অতিরিক্ত বিষয়ের জন্য আরও প্রায় ৫ কোটি বই না ছাপানো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া নতুন শিক্ষাবর্ষে (২০২৬) মাধ্যমিকের বই ছাপাতে প্রায় ১৫শ’ ৫৬ কোটি টাকা ও প্রাথমিকের জন্য প্রায় ৪২৩ কোটি টাকা খরচ ধরা হয়েছে। তবে ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে মাধ্যমিকে প্রায় ১৬শ’ কোটি টাকা, আর প্রাথমিকে প্রায় ৪৪৯ কোটি টাকা খরচ হয়েছিল বলে জানা গেছে।

এদিকে ২০২৫ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত প্রাথমিকের চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণিতে ২০১২ সালের কারিকুলামের বই পড়ানো হতো। ২০২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হাতে ২০২১ সংস্করণের বই পরিমার্জন করে তুলে দেওয়া হবে।