বেসরকারি শিক্ষকদের পেনশন চালুর চিন্তা সরকারের

শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক
শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক  © ফাইল ছবি

সরকারি চাকরিজীবীদের ন্যায় বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের পেনশন চালুর চিন্তাভাবনা করছে সরকার। এটি চালু হলে অবসরের পর শিক্ষকরা এককালীন টাকার পাশাপাশি প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ পাবেন। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার শিক্ষকদের কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর বোর্ডের আর্থিক বিষয়ে আলোচনা করতে একটি অনানুষ্ঠানিক সভা হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ছাড়াও শিক্ষা প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন। সভায় শিক্ষকদের পেনশন চালুর প্রস্তাব করা হয়েছে।

সভা সূত্রে জানা গেছে, সরকারের সর্বজনীন পেনশনের ন্যায় এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের পেনশন চালুর বিষয়ে প্রস্তাব করা হয়েছে। এক্ষেত্রে শিক্ষকরা চাকরিজীবন শেষ অবসরের পুরো টাকা একসঙ্গে পাবেন না। অবসরের অর্ধেক টাকা এককালীন পরিশোধ করা হবে। বাকি অর্ধেক টাকা তাকে পেনশন আকারে দেওয়া হবে। পেনশনের টাকা শিক্ষকরা আজীবন পাবেন। কোনো কারণে তিনি মারা গেলে তার নমিনিকে পেনশনের টাকা দেওয়া হবে। 

আরও পড়ুন: ‘সনদের মেয়াদ নিয়ে সলিসিটর বিভাগের মতামতের অপব্যাখ্যা দিচ্ছে এনটিআরসিএ’

নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে ওই সভায় উপস্থিত এক কর্মকর্তা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, শিক্ষকদের পেনশন স্কিম চালুর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এটি বাস্তবায়ন করতে হলে অবসর বোর্ডের আইন পরিবর্তন করতে হবে। সেজন্য সভায় উচ্চ পর্যায়ের একটি কারিগরি কমিটি গঠনের প্রস্তাব উঠেছে। এই কমিটিই সবকিছু নির্ধারণ করে দেবে। তবে এটি একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনা।

প্রসঙ্গত, বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা ১৯৯০ সাল থেকে কল্যাণ ট্রাস্টের সুবিধা পাচ্ছেন। আর ২০০৫ সাল থেকে শুরু হয়েছে অবসর সুবিধা দেওয়া। এই দুই সুবিধা বাবদ এককালীন অর্থ পেয়ে থাকেন। এজন্য শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও অংশ থেকে চাঁদা হিসেবে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ কেটে রাখা হয়। এখন নতুন করে শিক্ষকদের পেনশন চালুর চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।


সর্বশেষ সংবাদ