পিইসি-জেএসসি পরীক্ষা নিয়ে যা বললেন শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী  © ফাইল ছবি

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা (পিইসি) ও অষ্টম শ্রেণির সমাপনী (জেএসসি) পরীক্ষা আবার চালু করার কোনো পরিকল্পনা বর্তমান সরকারের নেই।

বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে নাটোর-২ আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান তিনি। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হলে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।

ঢাকা-৫ আসনের মশিউর রহমান সজলের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী জানান, নতুন শিক্ষাক্রমে পরীক্ষা নেই তেমন নয়। পূর্বের মুখস্থনির্ভর ও সার্টিফিকেট সর্বস্ব শিক্ষাব্যবস্থা থেকে বের হয়ে আসার জন্য নতুন শিক্ষাব্যবস্থা ও মূল্যায়ন পদ্ধতি চালু করা হয়েছে, যা প্রচলিত পরীক্ষার ধারণা থেকে ভিন্ন। এর ফলে আগের মতো মুখস্থনির্ভর পরীক্ষা না থাকার কারণে অনেকেই নতুন পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেই বলে অভিযোগ করছেন। নতুন শিক্ষাক্রমে ধারাবাহিক ও সামষ্টিক মূল্যায়নের সমন্বয়ে একটি আধুনিক কার্যকরি মূল্যায়ন পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। এখানে লিখিত মূল্যায়নের পাশাপাশি সমস্যা সমাধান, একক কাজ, দলীয় কাজের মূল্যায়ন করা হচ্ছে। উপস্থাপন ও যোগাযোগ সক্ষমতা, সহযোগিতা, নেতৃত্ব, অর্জিত জ্ঞানের প্রয়োগ ইত্যাদি পর্যবেক্ষণসহ আরো নানান উপায়ে শিখন মূল্যায়ন করা হচ্ছে।

জাসদের সংসদ সদস্য এ কে এম রেজাউল করিম তানসেনের প্রশ্নের লিখিত জবাবে শিক্ষামন্ত্রী জানান, দেশের যে শিক্ষা পদ্ধতি চালু হচ্ছে ওই শিক্ষাব্যবস্থায় মেধাবী একটি জাতি তৈরি হবে। নতুন শিক্ষাব্যবস্থা মূলত নতুন শিক্ষাক্রমের ওর ভিত্তি করে পরিচালিত যা আমাদের আগামী প্রজন্মকে প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে টিকে থাকার সঙ্গে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব, বিশ্বায়ন, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলা এবং মধ্য আয়ের দেশ থেকে উন্নত দেশে রূপান্তরের পথকে সুগম করবে।

মন্ত্রী আরো জানান, অতীতে মুখস্থনির্ভর ও সার্টিফিকেট সর্বস্ব শিক্ষাব্যবস্থা থেকে বের হয়ে বর্তমানে যোগ্যতাভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা যুগের চ্যালেঞ্জগুলোকে আরো কার্যকরভাবে মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে। শিক্ষার্থীরা মেধাশূন্য নয়, নতুন শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষার্থীরা আরো দক্ষ ও যোগ্য হয়ে উঠবে। নতুন শিক্ষাব্যবস্থা পরিবর্তনের কোনো পরিকল্পনা নেই। তবে নতুন পদ্ধতি কীভাবে আরো কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করা যায় তা নিয়ে শিক্ষা বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে কার্যক্রম চলমান রয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ