ছুটির মধ্যেই এনটিআরসিএ’র জরুরি নির্দেশনা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২০, ০৮:৩৭ AM , আপডেট: ২৪ আগস্ট ২০২০, ০৮:৩৭ AM
বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক নিয়োগের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দেওয়া চাহিদা সংশোধন, পরিশোধন ও পরিমার্জনের শেষ সুযোগ দিয়ে আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়েছে। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দেওয়া ই-রিকুইজিশন চাহিদা সংশোধন, পরিশোধন ও পরিমার্জন সংক্রান্ত এক জরুরি নির্দেশনায় এই তথ্য জানিয়েছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। গত ২০ আগস্ট প্রতিষ্ঠানটির সদস্য (শিক্ষাতত্ত্ব ও শিক্ষামান) ড. কাজী আসাদুজ্জামানের স্বাক্ষরিত আদেশে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, এই সময়ের মধ্যে সংশোধন করা না হলে পরে এ সংক্রান্ত কোনও আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না। আর শিক্ষকের চাহিদাপত্রে অনিয়ম ও অবহেলা পাওয়া গেলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করা হবে।
এর আগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো পদ না থাকলেও শিক্ষক নিয়োগের জন্য এনটিআরসিএ -এর কাছে শিক্ষক নিয়োগের চাহিদাপত্র পাঠায়। ফলে শত শত শিক্ষক নিয়োগের পর এমপিও বঞ্চিত হন। এছাড়া ২০১৮ সালের জনবল কাঠামো এবং এমপিও নীতিমালা না মেনে আগের নীতিমালায় শিক্ষক নিয়োগের চাহিদা দেয়। ওই চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার পর এমপিও বঞ্চিত হন নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকরা। এছাড়া এনটিআরসিএ –এর সুপারিশের পরও অনেক প্রার্থী নিয়োগ বঞ্চিত হয়েছেন।
এ কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে সতর্ক করে চাহিদাপত্র সংশোধনের শেষ সুযোগ দিয়ে আদেশ জারি করে কর্তৃপক্ষ। আদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে চাহিদাপত্র সংশোধনের শেষ সুযোগ দেওয়া হয়।
আদেশে আরও বলা হয়, জেলা শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে চাহিদাপত্র যাচাই বাছাই করে প্রয়োজন অনুসারে প্রতিষ্ঠানের চাহিদা সংশোধন, পরিশোধন ও পরিমার্জন করে প্রয়োজন অত্যাবশ্যক বিবেচিত হলে প্রতিষ্ঠান প্রধানকে দিয়ে চাহিদাপত্র সংশোধন করিয়ে নেবেন।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষা কর্মকর্তাদের সতর্ক করে আদেশে বলা হয়, সময়সীমার পর চাহিদাপত্র সংশোধন, পরিশোধন ও পরিমার্জনের আর কোনও আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না। শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ২০১৮ সালের জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালার ব্যত্যয় ঘটিয়ে চাহিদাপত্র পাঠালে প্রতিষ্ঠান প্রধানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রণালয়ে পত্র পাঠানো হবে। একইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট জেলা এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে অবহেলার বিষয়টি জানিয়ে মন্ত্রণালয়ে পত্র দেওয়া হবে।