সমাজ পাল্টাতে শিক্ষার্থীরা শিখবে ‘মানবাধিকার’
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২০ জানুয়ারি ২০২০, ০৮:৩৫ AM , আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০২০, ০৮:৩৫ AM
জাতীয় মানবাধিকার কমিশন উদ্যোগে দেশের প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক (কলেজ) পর্যায়ের সব শিক্ষার্থীকে মানবাধিকার বিষয়ে সচেতন করতে ‘মানবাধিকার সুরক্ষায় তারুণ্যের অভিযাত্রা’ স্লোগান নিয়ে প্রস্তুত। এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে সম্প্রতি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরে চিঠি দিয়ে দেশের সব প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থীর সংখ্যা জানতে চেয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
বৈষম্য-বঞ্চনা ও অধিকারহীনতার পরিবেশ সৃষ্টির বিপরীতে অধিকার রক্ষা ও সস্প্রসারণে শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়। এই উদ্যোগের ফলে শিক্ষার্থীরা যেমন মানবাধিকার সম্পর্কে নিজেরা শিখবে, তেমনি সমাজ বদলাতে তারা মানবাধিকার শেখাবে। গত ১২ জানুয়ারি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালকের কাছে চিঠি পাঠিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থীর সংখ্যা জানতে চায় সংস্থাটি।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে তথ্য জানাতে মাঠ পার্যায়ের কর্মকর্তাদের কাছে তথ্য সরবরাহের নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর।
রবিবার (১৯ জানুয়ারি) সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলামের সই করা চিঠিতে মাঠ পর্যায়ের আঞ্চলিক পরিচালক, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারদের তথ্য পাঠাতে বলা হয়।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থীদের তালিকা পাওয়ার পর দেশের প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মানবাধিকার কমিশন সচেতনতামূলক লিফলেটসহ বিভিন্ন প্রচারপত্র সরবরাহ করবে। প্রচারপত্রের সচেতনতামূলক বাণী শিক্ষার্থীদের মানবাধিকার সচেতন করতে উদ্বুদ্ধ করবে বলে মনে করছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
মহাপরিচালক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক বলেন, ‘ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে পুরোপুরি মানবাধিকার বিষয়ে সচেতন করতে পারলে পরিস্থিতি পাল্টে যাবে। শিক্ষার্থীরা যেমন একদিকে মানবাধিকার সচেতন হবে, তেমনি তারা সমাজ পরিবর্তনে তারা ভূমিকা রাখবে। আমরা নিয়মিত বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মানবাধিকার বিষয়ে সচেতন করে যাচ্ছি। মানবাধিকার কমিশনের এই উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। শিক্ষার্থীদের মানবাধিকার সচেতন করতে আমরা কমিশনের সিদ্ধান্তের প্রতি সব সময় সম্মান জানাবো। দেশে মানবাধিকার প্রতিতিষ্ঠায় শিক্ষকদের কাজে লাগাবো।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণা অনুযায়ী দেশ ও বিশ্বে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় ভবিষ্যত প্রজন্মকে টার্গেট করেছে মানবাধিকার কমিশন। সমাজের বৈষম্য-বঞ্চনা ও অধিকারহীনতা দূর করে দেশে মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে সব মানুষের মধ্যে মানবাধিকার বিষয়ে সচেতনতা প্রয়োজন। তাই ভবিষ্যত প্রজন্মকে মানবাধিকার বিষয়ে সচেতন করাই পরিস্থিতি পরিবর্তনের একমাত্র পথ। মানবাধিকার কমিশন মনে করে শিক্ষার্থীরাই সমাজের চেঞ্জ মেকার। তাই ‘ইয়ুথ ফর হিউম্যান রাইটস’ বা ‘মানবাধিকার সুরক্ষায় তারুণ্যের অভিযাত্রা’ স্লোগান নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রচারণা চালানো হবে।