‘আনন্দময় শিক্ষা পদ্ধতি’ চালুর খবরে পাঠকদের তীব্র প্রতিক্রিয়া
পরীক্ষার চাপ কমিয়ে সরকার শিক্ষাকে আনান্দময় করতে সচেষ্ট হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেছেন, পরিবর্তনশীল বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে হবে। সোমবার (১২ জুলাই) বিকেলে ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০তম সমাবর্তনে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসে মন্ত্রীর এ খবর ‘‘পরীক্ষার চাপ কমিয়ে আনন্দময় শিক্ষা পদ্ধতি চালু করা হবে’’ শিরোনামে প্রকাশিত হয়েছে। এতে পাঠকদের মাঝে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। তাদের কেউ কেউ গত বছর থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যকে তুলে ধরেছেন।
অবশ্য পরীক্ষার চাপ কমিয়ে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীর এমন বক্তব্য নতুন নয়। এর আগেও তিনি এ কথা জানিয়েছেন। গত বছর ১ জানুয়ারিতে সাভার অধরচন্দ্র সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে বই উৎসবে শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, শিক্ষার্থীদের ওপর পরীক্ষার চাপ কমানোর জন্য মূল্যায়ন পদ্ধতি পরিবর্তন করা হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, মানসম্মত শিক্ষার জন্য বহুমুখী কার্যক্রম গ্রহণ করেছি। আমরা আমাদের মূল্যায়ন পদ্ধতি পরিবর্তন করছি, যাতে শিক্ষার্থীর পরীক্ষার চাপ কমানো যায় ও শিক্ষাকে আনন্দময় করে তোলা যায়।
ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে শিক্ষামন্ত্রীর দেয়া বক্তব্যের খবরে পাঠকরা বলছেন, ‘‘সারাবছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে বছর বছর অটোপাস দেওয়ার মাঝেই সব আনন্দ নিহিত রয়েছে। এটাই আনন্দদায়ক শিক্ষা।’’
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী হাসান রাকিব লিখেছেন, হায়রে আনন্দময় শিক্ষা রে...! গত দেড় বছর যাবত মহা আনন্দেই আছি। রাজার হালে! মহাখুশি! অনন্তকাল এভাবে আনন্দঘন শিক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে চাই মাননীয় মন্ত্রী।
আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রামের শিক্ষার্থী মো. সাইফ লিখেছেন, প্রায় দুই বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। এর চেয়ে বড় আনন্দ আর কি হতে পারে? দুই বছর বন্ধ রেখে শিক্ষামন্ত্রীর আনন্দ ফুরায় নাই।
অনেকটা ক্ষোভ প্রকাশ করে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন রেখে সাবিনা কলি নামে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী লিখেছেন, দেড় বছর ধরে শিক্ষার্থীরা ঘরে। দুপুর ১২টা পর্যন্ত ঘুমায়, গেম খেলে। খায়-দায় ঘুমায়। আরও আনন্দের ব্যবস্থা করতে হবে?
মূলত শিক্ষামন্ত্রী আনন্দময় শিক্ষা পদ্ধতির বিষয়ে বলেছেন, যে যে কাজই করো না কেন, যাই থাকুক না কেন, মানুষ হবে মানুষের মতো। বিশ্ব নাগরিক হতে গেলে কাজ করতে হবে। শুধু পরীক্ষার জন্য আমাদের শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা করাতে চাই না, শিক্ষা অর্জন করে মেধা-মনন বিকাশ করে আদর্শ মানুষ করে তুলতে হবে। এ জন্য শিক্ষার্থীদের ওপর পরীক্ষার চাপ কমাতে আমরা ক্লাস মূল্যায়ন বাড়ানোর নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ক্লাস শিক্ষকদের মাধ্যমে এসব মূল্যায়ন করা হবে।