এসএসসি পরীক্ষা নিয়ে যা বললেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সভাপতি

করোনা প্রাদুর্ভাবের মধ্যে চলতি বছরের মার্চের মাঝামঝি থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে এইচএসসি পরীক্ষাও বাতিল করা হয়েছে। তবে আগামী বছরের ঠিক সময়ে এসএসসি পরীক্ষা নেওয়া হবে জানিয়ে সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি শিক্ষার্থীদের পূর্ণ প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

তবে পরীক্ষা কীভাবে হবে, সিলেবাস কমবে কিনা, সময় বাড়ানো হবে কিনা এসব বিষয়ে কোনো দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। এর ফলে ২০২১ সালের এসএসসির প্রায় ২০ লাখ শিক্ষার্থী এক ধরনের উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে।

আসন্ন এ পরীক্ষা নির্দিষ্ট সময়ে হবে নাকি সময় পরিবর্তন করা হবে, অথবা অটো প্রমোশন- এসব কোন কিছুই নিয়ে এখনো ভাবা হয়নি বলে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানিয়েছেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক।

আজ মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) তিনি বলেন, সময় অনুযায়ী প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি মাসে এসএসসি পরীক্ষা শুরু হয়ে আসছিল। এ বছর করোনাভাইরাসের মধ্যে সে নিয়য়েই এখন পর্যন্ত বহাল রয়েছে। এসএসসি পরীক্ষার আগের সময় পরিবর্তন হবে কিনা- এখন পর্যন্ত এটা নিয়ে কোন কিছু ভাবা হয়নি। সময় হলে কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আরও পরিষ্কার করবেন বলে জানান তিনি।

এদিকে, করোনার ভ্যাকসিন না আসা পর্যন্ত স্কুল না খোলা, পিএসসি-জেএসসির ভিত্তিতে এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল দেয়াসহ ৬ দফা দাবিতে আগামী শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) সারা দেশব্যাপী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে পরীক্ষার্থীরা। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে তারা ভার্চুয়ালি একত্রিত হচ্ছেন।

এই আন্দোলনের আহবায়ক ও মুন্সীগঞ্জ ইসলামপুর কামিল মাদ্রাসার ছাত্র মো. মাহবুবুর রহমান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে আজ মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শুক্রবার সকাল ১১টায় এ কর্মসূচির শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

এর আগেও গত বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) একই দাবিতে রাজধানীসহ দেশের একাধিক জেলায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। কর্মসূচি থেকে পরীক্ষার্থীরা ৬টি লিখিত দাবি জানিয়েছেন। দাবিগুলো হল-

১) করোনা ভ্যাকসিন না আসা পর্যন্ত স্কুল খোলা যাবে না।

২) করোনা চলাকালীন কোনো ধরনের পরীক্ষা (স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা, টেস্ট পরীক্ষা ও এসএসসি পরীক্ষা) নেওয়া যাবে না।

৩) আমাদের স্কুল কার্যক্রম ৮ মাস বন্ধ ছিলো, তাই এই ৮ মাসের ক্ষতিপূরণ হিসাবে আমাদের এসএসসি পরীক্ষা ৮ মাস পেছাতে হবে।

৪) পরীক্ষার ৮ মাস পেছানো হলে তার জন্য সেশনজট সৃষ্টি হবে, এর ফলে আমাদের জীবন থেকে পরবর্তী ১ বছর শেষ হয়ে যাবে। তাই আমাদের এই সেশনজটের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

৫) যদি উপোরোক্ত দাবি না মেনে জোরপূর্বকভাবে করোনা চলাকালীন সময়ে এসএসসি পরীক্ষা নেওয়া হয় এবং পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে যদি কেউ কভিড-১৯ পজিটিভ হয়, তাহলে সেই ছাত্রের দায়ভার সরকারকে নিতে হবে।

৬. যদি এসএসসি পরীক্ষা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়, তাহলে আমাদের পিএসসি ও জেএসসি পরীক্ষার রেজাল্টের উপর ভিত্তি করে অটো প্রমোশন দিতে হবে।


সর্বশেষ সংবাদ