০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৫২

যশোর বোর্ডে শতভাগ ফেল ২০ কলেজকে শোকজ, বাতিল হতে পারে স্বীকৃতি

যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড  © টিডিসি সম্পাদিত

চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষায় শতভাগ ফেল করা ২০ কলেজকে শোকজ নোটিশ দিয়েছে যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর ড. আব্দুল মতিন। জবাব সন্তোষজনক না হলে এসব প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাডেমিক স্বীকৃতিও বাতিলসহ পাঠদানের অনুমতিও হারাতে পারে।

গত ১৬ অক্টোবর এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। সে সময় বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড.আব্দুল মতিন জানান, বোর্ডের আওতাধীন ৫৭৫টি কলেজের মধ্যে ২০ কলেজের পরীক্ষার্থী শতভাগ ফেল করেছে। এ কারনে পাসের হার কমে যায়। শোকজের জবাব সন্তোষজনক না হলে এসব কলেজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বোর্ডের সূত্র জানায়, মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বিএন কলেজ থেকে ১১ পরীক্ষার্থী, খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার মডেল কলেজে ১, খুলনা সদরের হোম ইকোনমিক্স কলেজে ১, পাইকগাছার কপিলমুনি সহচারী বিদ্যা মন্দির থেকে ৫, তেরখাদা উপজেলার আদর্শ শিক্ষা নিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ৮ পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সবাই ফেল করে।

মাগুরা সদরের বুজরুক শ্রীকুন্ডি কলেজে ৮ পরীক্ষার্থী, মাগুরা সদরের রাওতারা এইচ এন সেকেন্ডারি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মাগুরার মোহাম্মদপুর উপজেলার কানাইনগর টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস কলেজে ৯, মোহাম্মদপুর উপজেলার বিরেন সিকদার আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে ১১ পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে সবাই ফেল করে।

বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজেলার সিংজোর গোপালপুর কলেজ থেকে ১৮ জন, সাতক্ষীরা সদরের ইসলামিয়া মহিলা কলেজে থেকে ৯, সাতক্ষীরা সদরের আখড়াখোলা আদর্শ কলেজে ৯, সাতক্ষীরা কমার্স কলেজে ২ পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ফেল করে।

যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বাকড়া হাজিরবাগ আইডিয়াল গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ৭ পরীক্ষার্থী, চৌগাছা উপজেলার মাড়ুয়া ইউসুফ খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ২৬, অভয়নগর উপজেলার শ্রীধরপুর ইউনিয়ন কলেজ থেকে ৭, কেশবপুর উপজেলার বুরুলি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ১০ পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সবাই ফেল করে।

আরও পড়ুন: ‘বঞ্চিত’ দাবি করে দুই পদোন্নতি: ‘সহযোগী অধ্যাপক’ হওয়ার ৯০ দিন না পেরোতেই হচ্ছেন ‘অধ্যাপক’!

কুষ্টিয়া সদরের আলহাজ আব্দুল গণি কলেজ থেকে ৪, ঝিনাইদহ সদরের মুনুরিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ১৫ ও নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার মাকরাইল করিম খালেক সুলাইমান ইনস্টিটিউট থেকে ৩৫ পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সবাই ফেল করে।

যশোর বোর্ডের উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (উচ্চ মাধ্যমিক) নিয়ামত এলাহী বলেন, শতভাগ ফেল করা ২০ কলেজের অধ্যক্ষকে নভেম্বর মাসের শেষের দিকে শোকজ করা হয়েছে। কি কারণে পরীক্ষার্থীরা শতভাগ ফেল করেছে, তার কারণ জানতে চাওয়া হয়েছে। অধ্যক্ষরা শোকজের জবাব দেওয়ার পর প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয়া হবে, সে সিদ্ধান্ত হবে। 

শোকজের জবাব সন্তোষজনক না হলে এসব কলেজের অ্যাকাডেমিক স্বীকৃতি স্থগিত হওয়াসহ বাতিল হতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, এমনকি স্থগিত করা হতে পারে পাঠদানের অনুমতিও। ভবিষ্যতে কলেজগুলো এ ধরনের ফলাফল না হয়, সে জন্য বিভিন্ন জেলায় কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের নিয়ে সেমিনার করা হচ্ছে।
শোকজ করার বিষয় জানতে চাইলে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড.আব্দুল মতিন কোনও মন্তব্য করেন।