ডিসেম্বরেই বই উৎসবের প্রস্তুতি এনসিটিবির, বাড়ছে জটিলতাও
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২০, ১১:১৮ AM , আপডেট: ২৪ আগস্ট ২০২০, ১১:১৮ AM
ডিসেম্বরের মধ্যেই আগামী বছরের নতুন বই বিতরণের পরিকল্পনা করছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। সে মোতাবেক বিনামূল্যের প্রায় ৩৫ কোটি বই ছাপানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে নানা জটিলতা তৈরি হওয়ায় এ কাজে সফল হবে কিনা এবং বইয়ের মান ঠিক থাকবে কিনা, তা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। অবশ্য করোনা পরিস্থিতিতেও যথাসময়ে নতুন বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া যাবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন।
জানা গেছে, ২০১০ সাল থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে নতুন বই দিচ্ছে সরকার। আগামী বছরও মাধ্যমিক স্তরের ২৫ কোটির কিছু বেশি নতুন বই দেওয়া হবে। আর প্রাথমিক স্তরে দেওয়া হবে প্রায় ১০ কোটি বই। সে মোতাবেক বই ছাপার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এবার করোনা মহামারির মধ্যেও যথাসময়ে নতুন বই উৎসবের পুরো প্রস্তুতি চলছে চলছে বলে এনসিটিবি সূত্রে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, আগামী শিক্ষাবর্ষে সোয়া চার কোটি শিক্ষার্থীর জন্য মোট ৩৫ কোটির মতো বই ছাপা হবে। তবে করোনার কারণে কাঁচামাল প্রাপ্তি, শ্রমিকদের সুরক্ষা ছাড়াও মানসম্মত বই ছাপা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। অবশ্য এ অবস্থার মধ্যেও সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডিসেম্বরের মধ্যেই বই পৌঁছানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে এনসিটিবি।
এ বিষয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর নারায়ণ চন্দ্র পাল সাংবাদিকদেরকে বলেন, প্রাথমিক এবং মাধ্যমিকে নতুন বইয়ের চাহিদা রয়েছে প্রায় ৩৫ কোটি। তবে সঠিক হিসাবটা এখনই বলা যাচ্ছে না। কাজ চলছে, ডিসেম্বরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বই দিতে পারব। করোনার কারণে এবার অনলাইনের মাধ্যমে বইয়ের চাহিদা সংগ্রহ করা হয়েছে। ফলে অতিরিক্ত বইয়ের চাহিদা কিছুটা কমে গেছে বলে জানান তিনি।
এদিকে মানসম্মত বই দেয়া এবার সম্ভব নয় বলে মনে করছে বাংলাদেশ মুদ্রণ শিল্প সমিতি। তারা বলেছে, করোনার কারণে টেন্ডার আহবান একমাস পিছিয়ে যায়। এছাড়া বিদেশ থেকে সময়মতো কাঁচামাল আমদানি করা ও শ্রমিকদের নিয়ে সংশয় রয়েছে।
বাংলাদেশ মুদ্রণ শিল্প সমিতির সভাপতি শহীদ সেরনিয়াবাত বলেন, এবার টেন্ডার একমাস পিছিয়ে গেলেও বাকি সময়ে বই দেয়া সম্ভব। তবে মানসম্মত বই দেয়ার বিষয়ে সংশয় রয়েছে। এবার শ্রমিকদের একজন করোনায় আক্রান্ত হলে সবাই চলে যাবে। তারপর নতুন শ্রমিক নিতে হবে, এতে কাজ পিছিয়ে যাবে। আবার বিদেশ থেকে আমদানি করাও জটিল হয়ে পড়েছে। এছাড়া নতুন কিছু প্রতিষ্ঠান কাজ নেওয়ায় বিষয়টি জটিল হয়ে গেছে বলেও জানান তিনি।