০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৭:৫৫

অব‍্যবহৃত সিম কত দিন পর বন্ধ হয়

অব‍্যবহৃত সিম  © সংগৃহীত ছবি

মোবাইল ফোন ব্যবহার বৃদ্ধির সঙ্গে যে বস্তুর নাম জড়িয়ে আছে তা হলো মোবাইল সিম। কেননা সিম ছাড়া মোবাইল ফোন ব্যবহার করা একদম অসম্ভব। আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরের স্বনামধন্য ইঞ্জিনিয়ার মার্টিন কুপারকে মোবাইল ফোনের জনক বলা হয়। তার এই আবিষ্কৃত বিস্ময়কর বস্তু বেতার তরঙ্গ বা রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ওয়েভের মাধ্যমে কাজ করে। আর এই নেটওয়ার্কটি তৈরি করে দেয় বিভিন্ন কোম্পানি।

আরও পড়ুন: ডয়চে ভেলের সম্প্রচার বন্ধ করল রাশিয়া

বাংলাদেশে এই নেটওয়ার্ক কোম্পানিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু ব্র্যান্ড হলো গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, রবি, টেলিটক ইত্যাদি। এসব বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সিম কেনার পর তা মোবাইলের নির্দিষ্ট স্লটে সেট করার পর আপনার মোবাইল অন্যপ্রান্তের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য উপযুক্ত হয়।

জাতীয় নম্বর পরিকল্পনা অনুযায়ী বাংলাদেশে মুঠোফোন নম্বর শুরু হয় ০১ দিয়ে। এর সঙ্গে আরও ৯টি অঙ্ক যোগ করে ১১ অঙ্কবিশিষ্ট একটি মুঠোফোন নম্বর তৈরি হয়। প্রতি অপারেটর তাদের জন্য বরাদ্দ নম্বর কোড দিয়ে ১১ অঙ্কের ১০ কোটি নম্বর তৈরি করতে পারে। এর মধ্যে টেলিটক ০১৫, গ্রামীণফোন ০১৭, রবি ০১৮ ও ০১৬ এবং বাংলালিংক ০১৯ নম্বর সিরিজ ব্যবহার করে।

এই সংখ্যাবিশিষ্ট সিমকার্ড কেনার পর মোবাইলে ব্যবহার করা হলে তাকে একটি সচল সিমকার্ড হিসেবে ধরা হয়। আর এটি কেনার পর যদি তা মোবাইলের নির্দিষ্ট স্লটে না লাগানো হয় বা কিছুদিন ব্যবহার করার পর তা খুলে অন্যত্র রেখে দেওয়া হয় তবে সেই সিমটিকে বন্ধ সিম হিসেবে ধরা হয়।

আরও পড়ুন:  ট্রলি ব্যাগে করে গার্লফ্রেন্ডকে হোস্টেলে আনার সময় ধরা খেলেন শিক্ষার্থী

আপনার ব্যবহৃত বা অব্যবহৃত সিম যদি টানা ১৫ মাস বন্ধ থাকে তবে সেই সিমটিকে একটি পরিত্যক্ত সিম হিসেবে ধরা হবে। এই অবস্থায় আপনি আপনার সিম কার্ডের মালিকানা হারাতে পারেন।

বিটিআরসি বলছে নতুন নিয়ম অনুযায়ী টানা ১৫ মাস বা ৪৫০ দিন একটি সিম ব্যবহার না করা হলে সিম কার্ডের মালিককে মালিকানা ধরে রাখতে বাড়তি ৩০ দিন সময় দেওয়া হবে। এই হিসেব অনুযায়ী ৪৮০ দিনের মধ্যে বন্ধ থাকা সিমটি চালু না করা হলে সেটির মালিকানা আর গ্রাহকের থাকবে না। এ সময়ের মধ্যে সিম সচল না করা হলে সংশ্লিষ্ট সিম কর্তৃপক্ষ বা মুঠোফোন অপারেটর সেটি নতুন করে আবার বিক্রি করতে পারবে।