মুঠোফোনেরও জাদুঘর চালু, থাকছে ভার্চ্যুয়াল ভ্রমণের সুযোগ

সংগ্রহে থাকা বিভিন্ন ফোনের ছবি
সংগ্রহে থাকা বিভিন্ন ফোনের ছবি  © সংগৃহীত

একজনের ব্যক্তিগত ফোনের সংগ্রহশালা থেকে প্রথম জাদুঘরটির কাজ শুরু হয়েছিল। এখন এতে ২ হাজারেরও বেশি হ্যান্ডসেট রয়েছে। বেন উড এবং ম্যাট চ্যাটারলি মিলে এই জাদুঘরটি প্রতিষ্ঠা করেছেন। তারা বলেছেন, মোবাইল ফোনের ইতিহাসকে তুলে ধরার জন্যই এমন উদ্যোগ ।

সম্প্রতি, যুক্তরাজ্যের লন্ডনে মোবাইল ফোনের এমন একটি অনলাইন জাদুঘর চালু করা হয়েছে৷ সেখানে ১৯৮৪ সাল থেকে সংগ্রহ করা সকল হ্যান্ডসেটের ঐতিহাসিক বিবরণ দেওয়া আছে । খবর দিয়েছে সংবাদমাধ্যম মেট্রো।

এছাড়া, এই জাদুঘরটির ক্যাটালগে অনেক ফোনের জন্য উচ্চ-রেজ্যুলেশনের ফটো এবং ব্যাকস্টোরিও রয়েছে।

জাদুঘরটির উদ্বোধন উপলক্ষে লন্ডনে একদিনের একটি বিশেষ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে যেখানে একটি স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা প্রদর্শনীটি ঘুরে দেখার পাশাপাশি এর উদ্যোক্তা উডের মুখে এটির ইতিহাস শুনতে এসেছেন। 

উড জানিয়েছেন, ২৫ বছর আগে একটি শখের প্রোজেক্ট হিসাবে এটির কাজ শুরু করেছিলাম, তাই মিউজিয়ামটি চালু করে প্রদর্শনীতে অনেক অভিজ্ঞ শিল্পী এবং অন্যান্য বন্ধুত্বপূর্ণ মুখ দেখতে পেরে ভালো লাগছে। 

এ সময় তিনি আরও জানান, মুষ্টিমেয় স্বেচ্ছাসেবক, পৃষ্ঠপোষকদের উদারতা এবং প্রচেষ্টা ছাড়া এর কিছুই সম্ভব হত না, তাই আমি তাদের অবদানের জন্য আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাতে চাই।

মোবাইল ফোনের গুরুত্ব ব্যাখা করে তিনি বলেছেন, মোবাইলে অর্থপ্রদান থেকে শুরু করে নাগরিক সাংবাদিকতা ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ সর্বদা যে কোনও জায়গায় কাজ করা যায়।

তিনি আরও বলেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে মোবাইল ফোন ছাড়া অন্য কোনো আবিষ্কার আমাদের জীবনযাপনকে এতটা পাল্টে দেয়নি।

এদিকে, মোবাইল ফোনের ইতিহাস সংরক্ষণ করে তা এই জাদুঘরের মাধ্যমে সকলের কাছে উন্মুক্ত করতে পারাটা সৌভাগ্যের বিষয় বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।

তিনি আরও যোগ করে বলেছেন, সেইসঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ এই ডিভাইসসহ যারা এটি তৈরি করেছেন তাদেরকে চেনা ও উদযাপন করাটাও আনন্দের ব্যাপার । 


সর্বশেষ সংবাদ