বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন
ই-কমার্সে নৈরাজ্য, দায় এড়াতে পারেনা ই-ক্যাব
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২১, ০৫:০০ PM , আপডেট: ২৪ আগস্ট ২০২১, ০৬:১৩ PM
দেশের ই-কমার্স খাতে চলমান নৈরাজ্যের দায় এড়াতে পারেন ই-ক্যাব (ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ) নেতারা। এমনটাই দাবি করেছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন। মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) সংগঠনটির দপ্তর সম্পাদক লোটাস জামিল স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই দাবি করা হয়।
বিবৃতিতে মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ গত দুই বছর ধরে ই-কমার্স খাতে নৈরাজ্য চলছে দাবি করে বলেন, সম্প্রতি ইভ্যালি, ই-অরেঞ্জ, ধামাকা, আলেশা মার্টসহ অসংখ্য প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণা করার সংবাদ গণমাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়। গ্রাহকরা এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে। ইতোমধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের কর্ণধারকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়েছে।
এ খাতের নেতৃবৃন্দ শুধু মন্ত্রণালয়ে তদবিরে ব্যস্ত থাকেন দাবি করে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো ইতোমধ্যে সরকারের কাছ থেকে প্রায় ৯০০ কোটি টাকা সহায়তা নিয়েছে। এছাড়াও সংগঠনের সদস্যরা বিপুল পরিমাণ অর্থ চাঁদা দিয়ে থাকেন। তাই অনৈতিক লেনদেনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম বন্ধ এবং কর্তা ব্যক্তিদের গ্রেফতারের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করে গ্রাহকদের ন্যায্য পাওনা পরিশোধের ব্যবস্থা এখনও পর্যন্ত সুরাহা না করতে পারায় নেতৃত্ব প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের কর্তা ব্যক্তিরা কোনোভাবেই তার দায়মুক্তি পেতে পারে না।
এতে আরও বলা হয়, আমরা সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে দাবি জানাচ্ছি ই-কমার্সের নেতৃত্ব প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের কর্তা ব্যক্তিদের কর্মকাণ্ড এবং দায়দায়িত্ব কতটুকু ছিল তা জবাবদিহিতার আওতায় আনা হোক। গ্রাহকদের প্রাপ্য দাবিগুলো প্রয়োজনে নেতৃত্ব প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের তহবিল থেকে পরিশোধ করার জোর দাবি জানাচ্ছি।
বিবৃতিতে ই-কমার্স খাতের ভুক্তভোগীদের আন্দোলনের সাথে সংহতি জানিয়ে আরও বলা হয়, যখন অনেক বড় বড় বিনিয়োগকারী এ খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী সে সময় এ ধরনের নৈরাজ্য কোনোভাবেই কাম্য নয়। এ ব্যাপারে সরকারের সর্বোচ্চ মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।