অনলাইন শিক্ষা

অনলাইন শিক্ষা: ডিজিটাল ডিভাইসের নাগালের বাইরে ৫৭ শতাংশ শিক্ষার্থী

ডিজিটাল ডিভাইস
ডিজিটাল ডিভাইস  © ফাইল ফটো

মহামারি করোনার সময় শিক্ষা গ্রহণের জন্য ২২ দশমিক ৩ শতাংশ শিক্ষার্থী ডিজিটাল ডিভাইসে নিয়মিত ক্লাস করেছে। আর ক্লাস করার জন্য দেশের ৫৭ দশমিক ৭ শতাংশ শিক্ষার্থী ডিজিটাল ডিভাইস পায়নি। বিশেষ করে নারী শিক্ষার্থীরা এই ক্ষেত্রে বেশি পিছিয়ে আছে।

রবিবার (১৩ জুন) সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) ও একশনএইড বাংলাদেশ যৌথভাবে ‘২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটঃ প্রেক্ষিত তরুণ জনগোষ্ঠি’ শিরোনামে একটি ওয়েবিনার উপস্থাপন করা প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সানেম-এর জ্যেষ্ঠ গবেষণা সহযোগী ইশরাত শারমীন।

করোনার সময়ে সানেম-অ্যাকশন এইড বাংলাদেশ দেশের চারটি জেলার শিক্ষার্থীদের উপর একটি জরিপ করেছে।

জরিপের তথ্য অনুযায়ী, মাত্র ২২ শতাংশ শিক্ষার্থীরা নিয়মিত অনলাইন ক্লাসে অংশগ্রহণ করছে। সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ, অ্যাডোলেসেন্ট ফ্রেন্ডলি হেলথ কর্নার, সঠিকভাবে বাস্তবায়িত না হওয়ায় তরুণরা, বিশেষত নারীরা পর্যাপ্তভাবে এর সুযোগ গ্রহণ করতে পারছে না। আর ৫৭ দশমিক ৭ শতাংশ তরুণ করোনার সময়ে শিক্ষা সংক্রান্ত কোনো ডিজিটাল ডিভাইস পায়নি।

জরিপে আরও জানানো হয়েছে, অর্থনৈতিক প্রভাবের দিক থেকে, স্বকর্মসংস্থানে নিয়োজিত তরুণদের মধ্যে ৭৯ দশমিক ৭ শতাংশের আয় কমে গেছে। বেতনভুক্ত কর্মসংস্থানে নিয়োজিত তরুণদের ৫৭ দশমিক ৪ শতাংশ আয় কমে গেছে।

এই গবেষণার পরামর্শগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রস্তাবিত অ্যাপ্রেন্টিসশিপ এর পলিসি ফ্রেমওয়ার্ক-এর যথাযথ বাস্তবায়ন, অনানুষ্ঠানিক খাতে কর্মরত তরুণদের জন্য বেকারত্ব ভাতা যা সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির অংশ হতে পারে, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যে বরাদ্দ বৃদ্ধি, প্রণোদনার দারিদ্র্য ও বৈষম্য দূরীকরণ এবং কর্মসংস্থান বৃদ্ধির জন্য সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা। 


সর্বশেষ সংবাদ