পাবজি-ফ্রি ফায়ার বন্ধ: ভিন্ন কথা বলছে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়

বাংলাদেশে ফ্রি ফায়ার ও পাবজি গেম বন্ধের প্রস্তাব করা হয়েছে
বাংলাদেশে ফ্রি ফায়ার ও পাবজি গেম বন্ধের প্রস্তাব করা হয়েছে  © ফাইল ছবি

বাংলাদেশে নিষিদ্ধ হচ্ছে আলোচিত ফ্রি ফায়ার ও পাবজি গেম। এরইমধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বিষয়টি নিয়ে সুপারিশ করা হয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে। তবে পাবজিসহ কোনো গেম বন্ধের সুপারিশ বা নির্দেশনা আসেনি বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ফ্রি ফায়ার ও পাবজি গেম দুটি বন্ধে দুই মন্ত্রণালয় থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে। এটি সত্য যে ওই দুটি গেম কিশোর-কিশোরী ও তরুণদের মধ্যে আসক্তি তৈরি করেছে। গেম দুটি কিশোর-কিশোরী ও তরুণদের মধ্যে আসক্তি তৈরি করেছে। কিন্তু হঠাৎ করে বন্ধ করতে গেলে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করবে। তাই ধীরে সুস্থে বিকল্প পদ্ধতিতে গেম দুটি বন্ধের উদ্যোগ নেয়া হবে। তবে এ বিষয়ে এখনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি।

এ বিষয়ে মোস্তাফা জব্বার বলেন, আসলে একেকজনের মাথাব্যথা একেক রকম। এ বিষয়ে প্রচুর এসএমএস পাচ্ছি। কেউ বন্ধের পক্ষে, কেউ বন্ধ না করার পক্ষে মত দিচ্ছেন। বিভিন্নজন বিভিন্ন মত প্রকাশ করছেন। তবে আমাদের কাছে এসব গেম বন্ধের বিষয়ে এখন পর্যন্ত কারও কাছ থেকে কোনো সুপারিশ বা নির্দেশনা আসেনি।

পড়ুন: ফ্রি ফায়ার পাবজি গেম নিষিদ্ধ হচ্ছে বাংলাদেশে

মন্ত্রী বলেন, ফ্রি ফায়ার ও পাবজি গেম বন্ধের শত শত দাবি যদি ওঠে, আবার তা চালু রাখারও দাবি ওঠে। আমি কোন দাবিটা শুনব? আমি আজকে বন্ধ করে দেব, কিন্তু ভিপিএন বন্ধ করবে কে? আমরা ফেসবুক বন্ধ করেছিলাম, কিন্তু ভিপিএন দিয়ে ফেসবুক চলেছে।

এর আগে, গেম দুটি বন্ধের বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কিশোর-কিশোরীদের শিক্ষাজীবন সুন্দর রাখতে মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ফ্রি ফায়ার ও পাবজি গেম নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। এই গেম বন্ধে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।

পড়ুন: বন্ধ করাটা সমাধান নয়, সন্তানদের নিয়ন্ত্রণ করুন: মন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ইন্টারনেটে নানা ধরনের গেম রয়েছে। এটা শুধু এককভাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিষয় নয়। আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ করছি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রণালয় রয়েছে, সবাই একযোগে কাজ করবে। কিশোর-কিশোরীদের শারীরিক মানসিক স্বাস্থ্যসহ সকল বিষয়ে নিরাপদ রাখা, আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

এ বিষয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, স্বরাষ্ট্র ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় যদি এ বিষয়ে আলোচনা করে থাকে তাহলে হয়তো নিজেদের মধ্যে করে থাকবে। আমাদের কাছে কোনও সুপারিশ বা অনুরোধ আসেনি। আর স্ব-উদ্যোগে এরকম নির্দেশনা তৈরি বা বাস্তবায়ন করা আমাদের এখতিয়ারের মধ্যে নয়। এ সম্পর্কে আমাদের সরকারের সিদ্ধান্ত দরকার হবে।


সর্বশেষ সংবাদ