কম ফলোয়ার নিয়েও আয় করার সুযোগ দেবে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম

ফেসবুক
ফেসবুক  © প্রতীকি ছবি

ফেসবুক থেকে যারা আয় করতে চান তাদের জন্য আনন্দবার্তা আসছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গ। মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) তিনি বলেন, যারা সৃজনশীল পেশায় যুক্ত আছেন, তাদের আরও অর্থ আয়ের সুযোগ করে দিতে কাজ করছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি। এর মধ্যে একটি হলো বিষয়বস্তু বা কনটেন্ট নির্মাতা এবং ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে যোগাযোগ করিয়ে দিতে মার্কেটপ্লেস তৈরি করা হচ্ছে।

কনটেন্ট নির্মাতারা যেন তাদের পণ্য ও সেবা বিক্রি করতে পারেন, সে জন্য ‘অনলাইন শপ’ তৈরিতেও ফেসবুক কাজ করছে বলে জানিয়েছেন জাকারবার্গ। সে সঙ্গে অনুসারীদের কোনো পণ্য ক্রয়ের সুপারিশ জানালে বিক্রয়মূল্যের একাংশ পাওয়ার সুযোগও আসছে। অনেকটা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মতো।

ফেসবুকের নতুন এই উদ্যোগগুলোর পেছনে আরেকটি কারণ দেখছেন বিশ্লেষকেরা। এতে নির্মাতাদের আরও কনটেন্ট তৈরিতে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। আর কনটেন্ট বেশি মানে সাধারণ ব্যবহারকারীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে আরও বেশি সময় কাটাবেন, বাড়বে ‘এনগেজমেন্ট’। সে কারণেই কনটেন্ট নির্মাতাদের আকৃষ্ট করতে সব সময় প্রতিযোগিতায় লিপ্ত থাকছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো। টুইটারও কনটেন্ট তৈরির নতুন উপায় নিয়ে পরীক্ষা চালাচ্ছে। এর একটি হলো ‘সুপার ফলো’। এতে নির্দিষ্ট ফির বিনিময়ে টুইটারে গ্রাহক হয়ে বিশেষ পোস্ট দেখার সুবিধা পাবেন ব্যবহারকারীরা।

ইনস্টাগ্রামের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অ্যাডাম মসেরির সঙ্গে লাইভ ভিডিওতে মার্ক জাকারবার্গ বলেন, ‘আমরা যদি কনটেন্ট নির্মাতাদের আরও আয় করতে সাহায্য করি, তবে সেটি সার্বিকভাবে এই খাতকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে বলে মনে করি।’

ইনস্টাগ্রামে যাদের অনুসারী সংখ্যা বেশি, অর্থাৎ নিজেদের মতামতের মাধ্যমে মানুষকে প্রভাবিত করতে পারেন, তাদের ইনস্টাগ্রাম ইনফ্লুয়েন্সার বলা হয়। তাঁরা সচরাচর ইনস্টাগ্রামে ছবি ও ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে আয় করেন। তবে মসেরি বলেছেন, ব্র্যান্ডগুলো সাধারণত বেশি জনপ্রিয় ইনফ্লুয়েন্সারদের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী হয়। নতুন মার্কেটপ্লেসে তুলনামূলক কম অনুসারী নিয়েও ব্র্যান্ডগুলোর সঙ্গে চুক্তির সুযোগ পাওয়া যাবে।

 


সর্বশেষ সংবাদ