কক্সবাজারে বসবে তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল, ব্যয় ৬৯৩ কোটি

প্রতীকী
প্রতীকী

কক্সবাজারে তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপন প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে খরচ হবে ৬৯৩ কোটি ১৬ লাখ ৭১ হাজার টাকা। মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ সংক্রান্ত একটি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। চলতি বছরের অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (জ্যেষ্ঠ সচিব) ড. শামসুল আলম বলেন, আমাদের ইন্টারনেটের চাহিদা প্রতি বছর ৭০ শতাংশ বাড়ছে। আমাদের একটি সাবমেরিন ২০২৫ সালের পর অকেজো হয়ে যাবে বা মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে এই প্রকল্পটি এখনই গ্রহণ করায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, আমাদের পূর্বাঞ্চলে যে সেভেন সিস্টার্স রয়েছে, সেখানে কিছু কিছু ব্যান্ডউইথ সার্ভিস আমরা তাদের দিচ্ছি। এটা আমরা দিতে থাকবো। ভুটান আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে তারা আমাদের কাছ থেকে ব্যান্ডউইথ কিনবে। সেক্ষেত্রে আমাদের একটা সুযোগ আছে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের। আইসিটির সচিব জানিয়েছেন, সউদী আরবও ব্যান্ডউইথ আমাদের কাছ থেকে নিতে চাচ্ছে।

প্রকল্পে বলা হয়েছে, সিঙ্গাপুর থেকে ফ্রান্স পর্যন্ত সংযুক্ত SEA-ME-WE-6 সাবমেরিন ক্যাবলটি ভারত মহাসাগর, আরব সাগর, লোহিত সাগর হয়ে ভূমধ্য সাগর অবধি বিস্তৃত হবে। ক্যাবলটির কোর ল্যান্ডিং স্টেশন হবে সিঙ্গাপুর, ভারত, জিবুতি, মিসর ও ফ্রান্সে। বাংলাদেশের ব্রাঞ্চটি বঙ্গোপসাগর হয়ে কক্সবাজারের ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশন পর্যন্ত বিস্তৃত হবে। কক্সবাজারকে প্রকল্প এলাকা নির্বাচন করা হয়েছে।

কোর সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপন করা হবে ১৩ হাজার ২৭৫ কিলোমিটার, ব্রাঞ্চ সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপন করা হবে ১ হাজার ৮৫০ কিলোমিটার, যন্ত্রপাতি স্থাপনপূর্বক লাইট আপ করা, সিঙ্গাপুর ও ফ্রান্স ল্যান্ডিং স্টেশনে Carrier Neutral PoP পর্যন্ত ল্যান্ড ক্যাবল সংযোগ স্থাপন করা হবে।

এতে বলা হয়, ডাটা সেন্টারের অবকাঠামো ও বৈদ্যুতিক কাজ, একটি ৫০০ কেভিএ স্ট্যান্ড বাই-ডিজেল জেনারেটর স্থাপন করা, স্বয়ংক্রিয় অগ্নিনির্বাপণ সিস্টেম স্থাপন করা, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ সিস্টেম (Precision Air Conditioner) স্থাপন করা, যন্ত্রপাতি স্থাপনের জন্য ভবন এবং একটি আন্তর্জাতিক মানের রেস্ট হাউজ নির্মাণ (২৪২৮ বর্গফুট দোতলাবিশিষ্ট ফাংশনাল বিল্ডিং নির্মাণ এবং ২৫৯৫ বর্গফুট তিনতলা বিশিষ্ট রেস্ট হাউস নির্মাণ) করা হবে।

‘বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপন’ শিরোনামের প্রকল্পটি ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ/ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিসিএল) বাস্তবায়ন করবে।


সর্বশেষ সংবাদ