মোবাইল ইন্টারনেটের দাম কমানোর নির্দেশ টেলিযোগাযোগমন্ত্রীর
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০২৩, ১২:৪২ AM , আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০২৩, ১২:৫৪ AM
মোবাইল ইন্টারনেটের দাম বাড়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে মোবাইল অপারেটর কোম্পানিগুলোকে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ‘বাংলাদেশে ব্যবসা করতে হলে দেশের জনগণের পক্ষে থাকতে হবে।’ তিনি বলেন, নির্বাচনের আর দুই মাস বাকি। এই সময় মোবাইল ইন্টারনেটের দাম বাড়ানো সরকারবিরোধী কাজ।
রবিবার (৫ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের প্রশাসনিক এলাকায় টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির প্রধান কার্যালয়ে দেশের মোবাইল অপারেটরগুলোর শীর্ষ নির্বাহীদের সঙ্গে বৈঠকে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। বৈঠকে বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার, কমিশনের কমিশনার-সহ পদস্থ কর্মকর্তা ও মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
মোবইল অপারেটরগুলোর ইন্টারনেট প্যাকেজ কমিয়ে সম্প্রতি নতুন একটি নির্দেশিকা দেয় সরকার। গত ১৫ অক্টোবর এ নির্দেশিকা কার্যকর হয়েছে। এর পর থেকে ইন্টারনেটের বাড়তি দাম নিচ্ছে অপারেটরগুলো। তবে বাড়তি এ দামে ক্ষুব্ধ ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তাঁর প্রশ্ন, গ্রাহকদের সুবিধার কথা ভেবে প্যাকেজ কমানো হয়েছে। বাড়তি দাম নেওয়া হবে কেন?
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) প্রণীত নতুন এই নির্দেশিকা অনুযায়ী মুঠোফোন অপারেটরগুলো ৭ ও ৩০ দিন মেয়াদি প্যাকেজ দিতে পারবে। এ ছাড়া থাকবে সীমাহীন মেয়াদি (আনলিমিটেড) প্যাকেজ। মোট ৪০টি প্যাকেজ দিতে পারবে অপারেটরগুলো। এত দিন ৩, ৭, ১৫, ৩০ ও সীমাহীন মেয়াদি প্যাকেজ ছিল। অপারেটরেরা মোট ৯৫টি প্যাকেজ দিতে পারত।
তবে নতুন নির্দেশিকার কিছু বিষয় বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছিল অপারেটরগুলো। দাম বাড়তে পারে, সে কথা বলেছিল। শেষ পর্যন্ত তা–ই হলো। এক মাস না যেতেই এ নিয়ে আপত্তি জানালেন মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। অপারেটরগুলোকে বাড়তি দাম কমানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
বৈঠকে ১০ নভেম্বরের মধ্যে পুরোনো নির্দেশিকার দামে ফেরত যাওয়ার জন্য অপারেটরদের নির্দেশ দেন মন্ত্রী। এই নির্দেশ না মানলে ব্যবস্থা নেবেন বলে অপারেটরগুলোকে সতর্কও করেন। তিনি বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ইন্টারনেটের দাম বাড়ুক, সেটা তিনি চান না। আজকের বৈঠকে অপারেটরগুলোর প্রধান নির্বাহীরা উপস্থিত না থাকার জন্যও ক্ষোভ জানান মন্ত্রী।