ভারতে উৎপাদন স্থানান্তর করতে পারে রেমন্ড
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:০২ PM , আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:১৮ PM
বাংলাদেশে হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই টেক্সটাইল এবং পোশাক কোম্পানি রেমন্ড আন্তর্জাতিক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে প্রচুর ইতিবাচক অনুসন্ধান পেয়েছে। এ সুযোগটি কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে টাইমস অব ইন্ডিয়া। এমনটিই জানিয়েছেন তারা।
রেমন্ডের চেয়ারম্যান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক গৌতম সিংহানিয়া বলেন, 'আমরা আশাবাদী। আমরা প্রচুর অনুসন্ধান দেখছি। এতে কিছুটা সময় লাগবে, তবে আমরা অবশ্যই ইতিবাচক সংকেত পাচ্ছি।'
সিংহানিয়া আরও বলেন, 'যদিও ভারতীয় শ্রমের খরচ বাংলাদেশের তুলনায় বেশি হতে পারে, পুরো পরিস্থিতি দেখুন। আমি কাপড় এবং সম্পূর্ণ সরবরাহ চেইন নিয়ে আছি। আমি আপনার সময় বাঁচাচ্ছি যার জন্য আপনি আমাকে কিছু পেমেন্ট দেবেন।'
তিনি আরও বলেন, 'বাংলাদেশে কাপড়ের সরবরাহ নেই। ভারত এ ব্যাপারে বড় সুযোগ পেয়েছে কারণ এখানে কাপড়ের ভিত্তি আছে। বাংলাদেশে কেবল পোশাকের ভিত্তি রয়েছে।'
সিংহানিয়া জানান, ভারত একটি রাজনৈতিকভাবে স্থিতিশীল দেশ, যার একটি বড় মধ্যবিত্ত শ্রেণি রয়েছে এবং চমৎকার ভোগ্যপণ্য ও উৎপাদন ক্ষমতা আছে।
প্রতিষ্ঠানটি রেমন্ড লাইফস্টাইল বিক্রি করে দিয়েছে যা এই সপ্তাহে রেমন্ডের সাথে বিভাজনের পর তালিকাভুক্ত হবে। এটি রেমন্ড গ্রুপের প্রায় এক শতাব্দী পুরোনো সব পোশাক সংক্রান্ত ব্যবসা সামলাবে। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত ক্রমশই 'চীন+১' কৌশল অনুযায়ী পছন্দের উৎস হিসেবে উঠে আসছে।ভারতীয় পোশাকের গুণমান চীনের চেয়ে ভালো বলে উল্লেখ করেছেন সিংহানিয়া।
রেমন্ডের সাম্প্রতিক বার্ষিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে ভারতে প্রতিষ্ঠানটি ৭.৫ মিলিয়ন জ্যাকেট, প্যান্ট এবং শার্ট উৎপাদনের ক্ষমতা রাখে এবং ইথিওপিয়ায় প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন ক্ষমতা ৩.২ মিলিয়ন।
উল্লেখ্য, রেমন্ডের পোশাক ইউনিট একটি হোয়াইট-লেবেল প্রস্তুতকারক, যেটি শীর্ষ আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডগুলোর জন্য উচ্চ-মানের পোশাক সরবরাহ করে।