এক সপ্তাহের মধ্যে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি গঠনের নির্দেশ

  © ফাইল ছবি

দেশের সর্বোচ্চ আদালত হাইকোর্টের রিট পিটিশনের আলোকে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এক সপ্তাহের (৭ কার্যদিবস) মধ্যে কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। পাশাপাশি কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে পাঁচ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। 

নির্দেশনা অনুযায়ী, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানির বিষয়ে অভিযোগ গ্রহণ, তদন্ত পরিচালনা এবং সুপারিশ করার জন্য কর্তৃপক্ষ কমপক্ষে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করবে। কমিটির সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য হবেন নারী। সম্ভব হলে কমিটির প্রধান হবেন নারী। 

এছাড়া অভিযোগ গ্রহণকারী কমিটি ৩০ দিনের মধ্যে সুপারিশসহ তদন্ত প্রতিবেদন কর্তৃপক্ষের কাছে দাখিল করবে। প্রয়োজনে কর্তৃপক্ষ এ সময়সীমা ৬০ কর্মদিবস পর্যন্ত বাড়াতে পারবে। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের সম্মুখে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ বাক্স থাকবে। 

মাউশি মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বুহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। 

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন সব অফিস ও সরকারি/বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধের লক্ষ্যে কমিটি গঠন এবং প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের জন্য তাগিদ দেওয়া হয়। কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে কতিপয় অফিস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ বিষয়ে কোনো কমিটি গঠন করা হয়নি যা আদালত অবমাননার শামিল। এ অবস্থায় আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে কমিটি গঠন নিশ্চিত করতে হবে। এর ব্যত্যয় ঘটলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

এতে আরও বলা হয়, যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অফিসে এ বিষয়ে এখনো কমিটি গঠন করা করেনি তাদের তালিকা তৈরি করে আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে মাউশিতে পাঠাতে হবে। 

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধের লক্ষ্যে উচ্চ আদালত কমিটি গঠনসহ কয়েক দফা নির্দেশনা দিলেও তার বাস্তবায়ন হতাশাজনক। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে কিছু প্রতিষ্ঠানে কমিটি হলেও সেগুলো কার্যকর নয়। প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে ১৩ বছরেও কমিটি হয়নি।


সর্বশেষ সংবাদ