শিক্ষক দিবস উদযাপনে মাউশির ১৭ দফা নির্দেশনা

মাউশি লোগো ও শিক্ষকের ক্লাস নেওয়ার মুহূর্ত
মাউশি লোগো ও শিক্ষকের ক্লাস নেওয়ার মুহূর্ত  © ফাইল ফটো

দেশে আগামী বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) শিক্ষক দিবস উদযাপন করা হবে। সারা দেশব্যাপী উদযাপিত হতে যাওয়া এই দিবস উপলক্ষ্যে ১৭ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

রোববার (২৩ অক্টোবর) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে  তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর করেছেন মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ।

এতে বলা হয়েছে, আগামী ২৭ অক্টোবর দেশব্যাপী শিক্ষক দিবস ২০২২ উদযাপন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্র হতে মাঠ পর্যায় পর্যন্ত বিভিন্ন উৎসব আয়োজনের মাধ্যমে দিবসটি উদযাপন করা হবে। দিবসটি সফলভাবে আয়োজনের অংশ হিসেবে সকল স্তরের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্ত করে (প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, কলেজ, কারিগরি ও মাদ্রাসা) বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে।

এতে আরও বলা হয়, আয়োজনটি সর্বাঙ্গীনভাবে সফল করার লক্ষ্যে প্রদত্ত নির্দেশনা মোতাবেক জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কমিটি গঠন করতে হবে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর দিবসটি উদযাপনে সমন্বয়কের ভূমিকা পালন করবে। জাতীয় পর্যায়ে দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালনের পাশাপাশি বিভাগীয় শহর এবং জেলা/উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহন করা হবে।

শিক্ষক দিবস উদযাপনে মাউশির নির্দেশনা সমূহ:

১। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত সকল দপ্তর ও তাদের আওতাধীন জেলা/উপজেলা পর্যায়ের সকল অফিস এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকগণ দাপ্তরিক ও প্রতিষ্ঠানিক কার্যক্রম অব্যাহত রেখে আগামী ২৭ অক্টোবর ২০২২ তারিখে শিক্ষক দিবস উদযাপনের কেন্দ্রীয় পর্যায়ের অনুষ্ঠানের সাথে সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করবেন।

২। “শিক্ষক দিবস-২০২২" উদযাপন আয়োজনটি সর্বাঙ্গীনভাবে সফল করার লক্ষ্যে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে নিম্নে বর্ণিত কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করতে হবে। আয়োজনটি সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের নিমিত্তে প্রয়োজনে আরও একাধিক সদস্য বর্ণিত কমিটিতে অর্ন্তভূক্ত করা যেতে পারে।

৩। জেলা পর্যায়ের কমিটি (জ্যেষ্ঠতার ক্রমানুসারে নয়) নাম ও পদবীমাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর এর আওতাধীন ১টি আঞ্চলিক কার্যালয়ের পরিচালক ও উপ-পরিচালক (মাধ্যমিক) সংশ্লিষ্ট অধ্যক্ষ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কমিটির সাথে আলোচনাক্রমে অঞ্চলসমূহের শিক্ষক দিবস ২০২২ উদযাপন অনুষ্ঠানসার্বিকভাবে সমন্বয় ও তদারকী করবেন।

৪। জেলা/উপজেলা পর্যায়ে ব্যালি আয়োজনের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা গ্রহণ করতেমহানগরে অবস্থিত থানাসমূহ মহানগরীর আয়োজনে অংশগ্রহণ করবে এবং মহানগরের বাহিরে অবস্থিত উপজেলাসমূহ উপজেলা পর্যায়ের অনুষ্ঠান উদযাপন করবে।

৫। সকল স্তরের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্ত করে (প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, কলেজ, কারিগরি ও মাদ্রাসা) কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠানের আদলে বর্ণাঢ্য র‍্যালির আয়োজন করতে হবে। কেন্দ্র হতে সরবরাহকৃত (ব্র্যাক এর সহযোগিতায়) নির্ধারিত ডিজাইনের ব্যানারে জেলা/উপজেলার নাম সংযোজন নিশ্চিত করতে হবে। ব্যানার এর ডিজাইন অপরিবর্তীত রেখে আকার পরিবর্তন করা যেতেপারে।

৬। বিভিন্ন পর্যায়ে যে সকল শিক্ষক শ্রেষ্ঠ স্থান অধিকার করেছেন তাঁদেরকে সম্মান প্রদর্শনপূর্বক র‍্যালির প্রথম সারিতে রাখা যেতে পারে এবং কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চাইলে নিজ উদ্যোগে তাঁদের প্রতিষ্ঠানে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচন ও সম্মাননা (উপহার, ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট) প্রদান করতে পারে।

৭। র‍্যালিটি বর্ণাঢ্য করার জন্য কেন্দ্র হতে সরবরাহকৃত ডিজাইনের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব উদ্যোগে ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড তৈরি করতে পারে।

৮। র্যালিটি সুশৃঙ্খল করার জন্য স্কাউট বিএনসিসি ও গার্ল গাইডস এর সহায়তা নেয়া যেতে পারে।

৯। প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব উদ্যোগে র‍্যালির পর জেলা/উপজেলা পর্যায়ে শিক্ষকদের হাত ধরেই শিক্ষা ব্যবস্থার রূপান্তর শুরু শিরোনামে আলোচনা সভার আয়োজন করা যেতে পারে।

১০। র‍্যালি আয়োজন ও অন্যান্য কর্মসূচি উদযাপন এর ক্ষেত্রে ICT4E অ্যাম্বাসেডর শিক্ষকদের সম্পৃক্ত করা যেতে পারে।

১১। শিক্ষক দিবস উপলক্ষ্যে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গনে বা সুবিধাজনক স্থানে ৩টি (১টি ফলদ, ১টি বনজ ও ১টি ভেষজ )

গাছের চারা রোপণ করতে হবে।

১২। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষ্যে রেড ক্রিসেন্ট/সন্ধানী/বাঁধন এ সকল সংস্থার মাধ্যমে রক্তদান কর্মসূচীর আয়োজন করা যেতে পারে।

১৩। র‍্যালি অনুষ্ঠানটি বর্ণাঢ্য করার জন্য দেশীয় সংস্কৃতিকে গুরুত্ব দিয়ে ব্যান্ড/সংগীত/নাটিকা উপস্থাপন করা যেতে পারে।

১৪। র‍্যালি ও আলোচনা সভার স্থির চিত্র/ভিডিও সংরক্ষণ করতে হবে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে।

১৫। জেলা/উপজেলা পর্যায়ে র‍্যালি এবং এতদসংশ্লিষ্ট কার্যক্রম স্থানীয় গণমাধ্যমের মাধ্যমে ব্যাপক প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

১৬। জেলা/উপজেলা পর্যায়ের সকল আয়োজনে স্থানীয় পর্যায়ের গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে আমন্ত্রণ জানানো যেতে পারে।

১৭। এ আয়োজনে সরকারি কোন বরাদ্দ নেই। নিজস্ব উদ্যোগে এ আয়োজন সম্পন্ন করতে হবে। শিক্ষক দিবস ২০২২ উদযাপানের জন্য শিক্ষকদের নিকট থেকে কোন ধরণের চাঁদা গ্রহণ করা যাবে না তবে কোন শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান স্বেচ্ছায় সহযোগিতা করতে চাইলে তা গ্রহণ করা যেতে পারে।


সর্বশেষ সংবাদ