‘ঢামেকের দাবি মিথ্যা, এখনো কারোও অবস্থাই ভালো নয়’
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৫ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৫:৪৫ PM , আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৫:৪৫ PM
গত রবিবার ডাকসুতে হামলার ঘটনায় আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কারো অবস্থাই এখনো ভালো নয় বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম-আহবায়ক রাশেদ খান।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ইমার্জেন্সি গেটে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে করে চিকিৎসাধীনদের অবস্থা তুলে ধরেন তিনি।
রাশেদ খান বলেন, ‘আমরা মনে করি, শুধু মানুষকে ধোকা দেয়ার জন্য তুহিন ফারাবীকে বেডে নেয়া হয়েছিল। তুহিন ফারাবীর সংকটাবস্থা এখনও কাটেনি। তার অবস্থা গুরুতর। আমাদের সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-আহবায়ক এপিএম সোহেলের অবস্থা গতকাল সন্ধ্যায় হঠাৎ করেই অবনতি হয়। এর আগে তাকে চিকিৎসকরা সিটিস্ক্যান দিয়েছিল। তখন চিকিৎসকরা জানান তার অবস্থা ভালো আছে তেমন কিছু হয়নি। কিন্তু কাল রাত দশটার দিকে জরুরিভাবে চিকিৎসকরা তাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যায়। পরে দ্রুত অপারেশন করা হয়।’
‘আমরা জানতে পেরেছি, সোহেলের মাথায় প্রচন্ড রকমের আঘাতের কারণে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছিল। অপারেশনের মাধ্যমে যদি তার মাথার রক্ত অপসারণ করা না হতো তাহলে তার জীবন নাশের হুমকি ছিল। সোহেল এখন আইসিইউতে আছেন। তার জ্ঞান কখনো আসছে, আবার জ্ঞান হারাচ্ছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘নুর মাঝেমধ্যে বমি করছেন। তার হাতে ও কোমরে প্রচণ্ড ব্যথায় কাতরাচ্ছেন। রাত্রে ঘুমাতে পারছেন না। সংগঠনের যুগ্ম আহবায়ক আরিফুল ইসলামের দুই চোখে প্রচণ্ড রকমের আঘাত করা হয়। তার অবস্থা গুরুতর। এছাড়া তার হাতেও কোমরে প্রচন্ড রকমের আঘাত রয়েছে। সে ঘুমাতে পারছে না। কিছু খেতেও পারছেনা বমি করে ফেলছে।’
রাশেদ বলেন, ‘সংগঠনের ঢাকা কলেজের যুগ্ম-আহবায়ক নাজমুল ইসলাম। তার মাথা ফাটিয়ে দেয়া হয়েছে। তার হাত ভেঙে দেয়া হয়েছে। তার অবস্থা এখনও পর্যন্ত অপরিবর্তিত রয়েছে। ব্যথার যন্ত্রণায় সে ঠিকমত ঘুমাতে পারছে না। আমাদের সহযোদ্ধা মেহেদী হাসান। তার মাথা ফাটিয়ে দেয়া হয়েছে। তাকে কিছু খাওয়ানো যাচ্ছেনা। সে কথাও বলতে পারছেনা। তার অবস্থার অবনতি হচ্ছে।’
সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ন আহবায়ক ফারুক হাসান। তার হাতের একটা শিরা আঘাতে ছিড়ে গেছে। তার বাম কানেও প্রচন্ড আঘাত এর কারণে শুনতে পাচ্ছেন না। তার অবস্থারও দিনে দিনে অবনতি হচ্ছে। ভিপি নুর এর ছোট ভাই আমিনুল ইসলামের অবস্থাও গুরুতর। সে এখনো পর্যন্ত কথা বলতে পারছে না। কাশতে গেলে তার রক্ত বমি হচ্ছে। তার অবস্থা অবনতির দিকে বলেও জানান রাশেদ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস এবং সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসু এজিএস সাদ্দাম হোসেনের নেতৃত্বেই ডাকসুর ভিপি নুর ও তার সহযোগিদের ওপর হামলা হয়েছে দাবি করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা না হলে দুর্বার আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন রাশেদ।