নুরদের ওপর মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ ও ছাত্রলীগের হামলায় আহত অনেকে (ভিডিও)
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২২ ডিসেম্বর ২০১৯, ০১:২০ PM , আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০১৯, ০১:৪৪ PM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুর ও তার অনুসারীদের ওপর হামলা চালিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের নেতাকর্মীরা। এতে নুরসহ কোটা সংস্কার আন্দোলনের অনেক নতাকর্মী আহত হয়েছেন।
আজ রোববার বেলা পৌণে ১টার দিকে এ হামলা চালানো হয়। এতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও অংশ নিয়েছেন বলে জানা গেছে। মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতার্মীরা দাবি করেছেন, নুর এবং তার অনুসারীরা ৬ রাউন্ড গুলি ছুঁড়েছে ওপর থেকে। এ কারণে তারাও নুরদেরকে মারধর করেছেন।
প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ডাকসু ভবনের মূল ফটক বন্ধ করে নুরের ওপর লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করা হয়। এছাড়া বাইরে থেকেও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ইট-পাটকেল ছুঁড়েন। এতে ডাকসু ভবনের জানালার গ্লাসসহ আসবাবপত্র তছনছ হয়ে গেছে।
জানা গেছে, ভিপি নুরুল হক নুর, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহবায়ক হাসান আল মামুন, যুগ্ম আহবায়ক মুঁহাম্মদ রাশেদ খান, ফারুক হাসানসহ অন্তত ১৫ থেকে ২০ জন আহত হয়েছে। পাঁচজনকে আহতাবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেখেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী এ হামলায় অংশ নেন বলে জানা গেছে। এসময় ডাকসুর সদস্য ও ছাত্রলীগ নেতা রাকিবুল ইসলাম ঐতিহ্য তাদেরকে বাঁধা দিতে গেলে তাকেও শিবির আখ্যা দিয়ে লাঞ্ছিত করেন মঞ্চের নেতাকর্মীরা।
পরে সূর্যসেন হল সংসদের ভিপি মারিয়াম জামান সোহান এবং জিএস সিয়াম হামলায় অংশ নেন। তারাও লাঠিসোটা নিয়ে ভিপি নুর এবং অনুসারীদের মারধর শুরু করেন।
জানা গেছে, ঘটনার সময় ভিপি নুরের কক্ষে উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস এবং সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসুর এজিএস সাদ্দাম হোসেন। সবাই মিলে মারধর করে নুরুর কক্ষ থেকে পাঁচ জনকে বের করে দেন।
একপর্যায়ে সনজিত ও সাদ্দাম সেখান থেকে বেরিয়ে আসলে অন্য একটি গ্রুপ ডাকসু ভবনে প্রবেশ করেন। একপর্যায়ে তারাও নুরসহ অন্যদেরকে মারধর শুরু করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নুরসহ সবাইকে কক্ষের লাইট অফ করে দিয়ে মারধর করা হয়। আহত হয়ে কয়েকজন সেখানেই পড়ে আছেন। ঘটনার বেশ কিছুক্ষণ পর প্রক্টরিয়াল টিম গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন। কয়েকজনকে অ্যাম্বুলেন্স এবং রিকশাযোগে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
সেখানে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিকের মোবাইল কেড়ে নেন মঞ্চের নেতাকর্মীরা। তবে পরে রাকিবুল ইসলাম ঐতিহ্যের সহায়তায় মোবাইল ফেরত পান সাংবাদিক।