ঢাবির আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের ভর্তি ফরম বিতরণ স্থগিত
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৮ মার্চ ২০১৯, ০১:১৫ PM , আপডেট: ২৮ মার্চ ২০১৯, ০১:১৫ PM
২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের বিভিন্ন ভাষার জুনিয়র কোর্সে ভর্তি ফরম বিক্রি স্থগিত ঘোষণা করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট (আইএমএল)। আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ ঘোষণা দিয়েছে ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ। এ ব্যাপারে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে বিভিন্ন ভাষার জুনিয়র কোর্সের ভর্তি ফরম বিতরণ আপাতত স্থগিত। পরবর্তী নির্দেশনার জন্য আগামী ১ এপ্রিল ইনস্টিটিউটের নোটিশ বোর্ড দেখতে হবে।
এ বিষয়ে আইএমএলের পরিচালক অধ্যাপক শিশির ভট্টাচার্য আজ বৃহস্পতিবারদ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘ফরম বিক্রির সময় প্রায় শেষের দিকে। কিন্তু ফরমের দাম কমানোর কথা তারা আমাদের আগে জানায়নি। তাহলে আমরা আগেই সিদ্ধান্ত নিতে পারতাম।’
এসময় তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘আমাদের একটা অপমানজনক চিঠি দেয়া হয়েছে এবং ব্যাংকে ফরম বিক্রিও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তাই আমরা বাধ্য হয়ে ফরম বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছি।’ ১ এপ্রিলের পর এ বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবেন বলেও জানান তিনি।
এর আগে বুধবার আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের জুনিয়র সকল কোর্সের আবেদন ফি কমানোর দাবিতে একটি চিঠি দেওয়া হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) পক্ষ থেকে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের পরিচালক বরাবর লেখা ওই চিঠিতে বলা হয়, ইনস্টিটিউটের জুনিয়র কোর্সের আবেদন ফি ৭০০ টাকা বহন করা নিয়মিত শিক্ষার্থীদের পক্ষে কষ্টসাধ্য। বহিরাগতদের জন্যও একই ফি হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আলাদা কোন সুবিধা পাচ্ছে না।
এজন্য ডাকসুর সদস্য মো. তানভীর হাসান সৈকতের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করে ফি ৭০০ টাকার পরিবর্তে ২০০ টাকা করার দাবি জানানো হয়েছে। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য আবেদন ফি ২০০ টাকা নির্ধারণ করার আগ পর্যন্ত জুনিয়র কোর্সের আবেদন ফরম বিক্রি বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে চিঠিতে।
তবে এ চিঠির কথা কিছুই জানতেন না ডাকসুর সহ সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুর। ওই চিঠিতে ডাকসু’র সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী এবং সহ সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) ও ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক মো: সাদ্দাম হোসেনের স্বাক্ষর রয়েছে। তবে সহ সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুরের কোন স্বাক্ষর নেই।
আরো পড়ুন: ডাকসুর নামে প্রশাসনে চিঠি, জানেন না ভিপি!
এ ব্যাপারে নুরুল হক নুর দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেছিলেন, ‘এ ধরণের কোন চিঠির কথা আমি জানি না। এ দাবিতে আমারও সমর্থন আছে। কিন্তু সেটাতো আমার সঙ্গে আলোচনা করা যেত। এটা ডাকসুর নয়, ছাত্রলীগের চিঠি।’
এদিকে ডাকসুর পক্ষ থেকে দেওয়া চিঠিতে ভিপি নুরুল হক নুরের নাম ও স্বাক্ষর না থাকার ব্যাপারে জানতে চাইলে এজিএস সাদ্দাম হোসেন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেছিলেন, এ ধরণের চিঠিতে ভিপির নাম থাকে না। সেজন্যই দেওয়া হয়নি।