গণতন্ত্রকে শৃঙ্খলবদ্ধের প্রতিবাদ ছাত্ররাই করবে: নুর
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৬ মার্চ ২০১৯, ১২:০৮ PM , আপডেট: ২৬ মার্চ ২০১৯, ১২:৫৩ PM
স্বাধীন বাংলাদেশেও বিভিন্ন সময়ের শাসকেরা গণতন্ত্রকে শৃঙ্খলবদ্ধ করার চেষ্টা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের ভিপি নুরুল হক নুর। তিনি বলেছেন, গণতন্ত্রকে শৃঙ্খল করার চেষ্টা করা হলেও সবসমই তরুণ ছাত্রসমাজই এর প্রতিবাদ করেছে। আগামীতেও করবে। তাছাড়া জাতির ক্রান্তিলগ্নে তরুণ সমাজ সবসময়ই পাশে ছিল, সোচ্চার ছিল।
মঙ্গলবার মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বীর শহীদদের শ্রদ্ধা জানানো শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের পক্ষ থেকে ওই শ্রদ্ধা জানান তিনি।
নুর বলেন, আমরা রাজনৈতিক দলাদলির বাংলাদেশ নয়, উন্নয়নের বাংলাদেশ চাই; যেখানে সকল মানুষ সমান অধিকার ভোগ করবে। কোনো ধরণের সমস্যা ছাড়াই মৌলিক অধিকার ফিরে পাবে।
ডাকসু ভিপির প্রত্যাশা, বছরের একটি দিন যেন আমাদের নতুন করে জাগিয়ে তুলতে শেখায়। এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্র পরিচালনাকারীদের কাছে তরুণ সমাজের প্রত্যাশা, তারা যেন মুক্তিযুদ্ধের সঠিক চেতনা লালন করেন এবং সে অনুযায়ীদের আগামী প্রজন্মকে পরিচালিত করেন। তবে সমৃদ্ধির বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।
জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানানোর সময় পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক রাশেদ খাঁন, ফারুক হাসান, ডাকসুর সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক আখতার হোসেন, বিভিন্ন পর্যায়ের যুগ্ম-আহ্বায়করা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকাল ৫টা ৫৭ মিনিটে ঢাকার সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রাষ্ট্রপতি। এর পরই শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। এ সময় বিউগলে বাজানো হয় করুণ সুর। গার্ড অব অনার দেয় সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল। এসময় মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, বিচারপতি, তিন বাহিনীর প্রধানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। পরে দলের সভাপতি হিসেবে আওয়ামী লীগের নেতাদের নিয়ে আবারও স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শেখ হাসিনা।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের পর মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া, সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা রওশন এরশাদ, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, ভাষাসৈনিক ও বিভিন্ন বাহিনীর প্রধান।
পরে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সর্বস্তরের মানুষের জন্য জাতীয় স্মৃতিসৌধ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।