ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন

নির্বাচিত হলেও হলে আসতে দেব না: ছাত্রলীগ নেতার হুমকি

জিয়া হলের ছাত্রলীগ প্যানেলের জিএসপ্রার্থী শান্ত
জিয়া হলের ছাত্রলীগ প্যানেলের জিএসপ্রার্থী শান্ত   © টিডিসি ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রার্থীতা প্রত্যাহারের জন্য ছাত্রলীগ কর্তৃক চাপ প্রয়োগের পাশাপাশি হুমকিরও অভিযোগ পাওয়া গেছে। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতারা এক দফায় বিভিন্ন হলে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রার্থীতা প্রত্যাহারের আদেশের পাশাপাশি হলের প্রার্থীরাও নানান হুমকি দিচ্ছে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের। 

মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের স্বতন্ত্র সহ-সভাপতি (ভিপি) এবং সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থীসহ একাধিক স্বতন্ত্র প্রার্থী অভিযোগ করে বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করতে ওই হলের ছাত্রলীগের প্যানেলের জিএসপ্রার্থী হাসিবুল হোসেন শান্ত নানান হুমকি দিচ্ছেন। এমনকি তারা প্রার্থীতা প্রত্যাহার না করলে নির্বাচনে জিতলেও হলে আসতে দেব না বলে তিনি হুমকি দেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বতন্ত্র একপ্রার্থী বলেন, প্রার্থীতা প্রত্যাহারের নানা ধরণের প্রেসার দিচ্ছেন শান্ত। ‘নির্বাচিত হলেও হলে আসতে দেব না’-বলেও হুমকি দিচ্ছেন তিনি।

জানা যায়, জিয়া হলের ছাত্রলীগের প্যানেলের জিএসপ্রার্থী হাসিবুল হোসেন শান্ত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানির অনুসারী হিসেবে পরিচিত। তিনি হলের সদ্য সাবেক কমিটির কর্মসূচি ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।

এ ব্যাপারে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে হাসিবুল হোসেন শান্ত বলেন, এ ধরণের অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমাদের বিপরীত প্যানেলে যারা দাঁড়িয়েছে তারা নিজেদের যোগ্যতা বলেই দাঁড়িয়েছে।

এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ছাত্রলীগ একটা ঐক্যবদ্ধ পরিবার। আসন্ন ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ছাত্রলীগ ঐক্যবদ্ধভাবে অংশগ্রহণ করবে।

ছাত্রলীগের অনেক নেতা স্বতন্ত্র পদে নির্বাচন করবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা আমাদের নির্বাচনী কৌশল ছিলো মাত্র। আমাদের কোন প্রার্থীর প্রার্থীতা যদি কোনো কারণে বাতিল হয়ে যায়, তাহলে ঐ বাতিল হওয়া পদটি ছাত্রলীগের অন্যকোনো প্রার্থী গ্রহণ করতে পারে। সেজন্য অনেকেই স্বতন্ত্র পদ থেকে দাঁড়িয়েছিলো। আশা করি, ২ তারিখ মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন, এর আগে সবাই প্রত্যাহার করবে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডাকসু নির্বাচনের চিফ রিটার্নিং অফিসার এস. এম. মাহফুজুর রহমান বলেন, ভুক্তভোগী কেউ যদি এ ব্যাপারে প্রক্টরের কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করেন, তাহলে নির্বাচনী আচরণ ভঙ্গের দায়ে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবেন।

নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী, আজ শনিবার দুপুর ২টায় প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। আগামীকাল রবিবার বিকেল ৪টায় প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।


সর্বশেষ সংবাদ