ঢাবির ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ
ঐতিহ্যে রূপ নিচ্ছে ছাত্রলীগের পিঠা উৎসব
- মোতাহার হোসেন, প্রদায়ক
- প্রকাশ: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০৯:২৪ PM , আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০৯:৪২ PM
খেজুর রস আর রসে ভেজানো চিতই পিঠা— এমন নানান ধরনের পিঠার মৌ মৌ গন্ধ নিয়ে গ্রাম-বাংলায় শীত আসে। ইট-পাথরের নগরের বাসিন্দারা এমন মুখরোচক পিঠার স্বাদ থেকে অনেকটাই বঞ্চিত। তবে গত কয়েক বছর ধরে পিঠাপ্রেমী শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পিঠা উৎসবের আয়োজন করে আসছে ছাত্রলীগ। ব্যবসায় অনুষদ ছাত্রলীগের এ আয়োজন এখন ঐতিহ্যে রূপ নিচ্ছে।
সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় অনুষদ প্রাঙ্গণে তৃতীয়বারের মতো আয়োজিত পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন অনুষদের ডিন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম। এ সময় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, ব্যবসায় অনুষদ ছাত্রলীগের সভাপতি বোরহান উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক সোলাইমান ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
দু’দিনব্যাপী উত্সবের স্লোগান— ‘পিঠার স্বাদে, এফবিএসের মাঠে’। আয়োজকদের ভাষ্য মতে, দেশের বিভিন্ন প্রান্তের গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী পিঠা নিয়ে সাজানো হয়ে এবারে পিঠা উৎসব। এবারের উৎসবে ১৮টি স্টল স্থান পেয়েছে। এর মধ্যে শরীয়তপুর পিঠাঘর, লাবণ্য, নোয়াখালী পিঠাঘর, শ্বশুরবাড়ি পিঠাঘর, ঢাকা পিঠাঘর, বরিশাল পিঠাঘর, সোনারগাঁও পিঠাঘর, চাঁদপুর পিঠাঘর, নারায়নঞ্জ পিঠাঘর অন্যতম।
উদ্বোধনের পরপরই শিক্ষার্থীরা ভিড় জমায় পিঠা উৎসবে। এ সময় পিঠাপ্রেমী তরুণ-তরুণীদের স্বাদের পিঠার সন্ধানে এক স্টল থেকে অন্য স্টলে ঘুরতে দেখা যায়। গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী পিঠার স্টল দিয়ে বিক্রেতারা যেমন আনন্দিত তেমনি দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ঐতিহ্যবাহী পিঠা খেয়ে খুশি পিঠাপ্রেমী শিক্ষার্থীরা।
পিঠা উৎসব বিষয়ে ব্যবসায় অনুষদ শিক্ষার্থী আরিফ হোসেন অনুভূতি প্রকাশ করেন এভাবে— ‘পিঠা উৎসবে এসে অনেক ভাল লাগছে। এখানে বিভিন্ন অঞ্চলের পিঠা একত্রে পাওয়া যাচ্ছে। নতুুন নতুন পিঠার সাথে পরিচিত হতে পারছি। কিছু পিঠা এর আগে কখনও দেখিনি। পিঠার মানও বেশ ভালো। এমন উৎসব যেন বার বার ফিরে আসে।
জুবায়েদ নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, দেশের অনেক এলাকার পিঠা এখানে এসে দেখতে পাচ্ছি। সাধারণত পিঠার ধারণাটি গ্রামকেন্দ্রিক। তবে ঢাকায় এত পিঠা দেখে আনন্দ পাচ্ছি। কয়েকটা পিঠা খেয়ে খুব ভাল লাগল । এইরকম উৎসব আরো বেশি হোক। তবে পিঠার দামটা একটু বেশি।