ভিপি নুরের উপর হামলার প্রতিবাদে কর্মসূচি ঘোষণা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৬ মে ২০১৯, ০৮:৫৭ PM , আপডেট: ২৬ মে ২০১৯, ১১:২১ PM
ইফতার মাহফিলে যোগ দিতে বগুড়ায় গিয়ে মারধরের শিকার হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের ডাকসুর সহসভাপতি (ভিপি) নুরুল হক। হামলায় ভিপি নুর এবং ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক ফারুক হাসান, রাতুলসহ অন্তত ৫ জন আহত হওয়ার খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এই হামলার ঘটনায় আগামীকাল দুপুর ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটি। রোববার সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা হামলার প্রতিবাদে তৎক্ষণাৎ বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এখান থেকে সোমবারের প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা দেয় সংগঠনের যুগ্ম-আহ্বায়ক আতাউল্লাহ। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম-আহ্বায়ক তুহিন ফারাবী, মাহমুদুল্লাহ মধু প্রমুখ।
যুগ্ম-আহ্বায়ক আতাউল্লাহ বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচিত সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুর, কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক রাতুল সরকার, ফারুক হাসান, মশিউর রহমান সহ অন্তত ৩০ থেকে ৪০ জনের উপর বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রউফের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। ন্যাক্কারজনক ও অতর্কিত এই হামলার প্রতিবাদে আগামীকাল সোমবার দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাদদেশে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হবে। মানববন্ধন শেষে ঢাবি ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করা হবে।
রোববার বিকেলে বগুড়ার উডবার্ণ পাবলিক গ্রন্থাগারের মধ্যে নূরকে আহত করার এই ঘটনা ঘটেছে। আহতদের মধ্যে তিনজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁরা হলেন ভিপি নূরুল হক, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক রাসুল ও বেসরকারি যমুনা টেলিভিশনের ভিডিওগ্রাফার শাহনেওয়াজ শাওন। ভিপি নূরকে প্রথমে বগুড়ার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে তাঁকে ঢাকায় নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক বিন ইয়ামিন মোল্লা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে ভিপি নুর ১৮ জনের একটি দল নিয়ে উডবার্ণ সরকারি গ্রন্থাগার চত্বরে আসেন। তবে পুলিশের লিখিত অনুমতি না থাকায় সেখানে অনুষ্ঠানের বাধা দেন সহকারী লাইব্রেরিয়ান রাজু আহম্মেদ। তাঁর সঙ্গে এই বিষয়টি নিয়ে কথা বলছিলেন নুর। এর কিছুক্ষণের মধ্যে বগুড়া ছাত্রলীগের সভাপতি নাইমুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে একটি দল গ্রন্থাগার চত্বরে প্রবেশ করেন। এরপর কোনো কথা বলার আগেই বগুড়া আজিজুল হক কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রউফ ভিপি নুরকে ঘুষি মারেন।
এরপর ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা নুরের ওপর অতর্কিত হামলা করেন। মারপিট চলার সময় ভিডিও ধারণ বন্ধের হুমকি দিয়ে যমুনা টেলিভিশনের ফটোগ্রাফারকেও মারধর করেন ছাত্রলীগের সদস্যরা। সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা চলেও যাওয়ার পর ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ভিপি নুরকে গ্রন্থাগারের প্রধান ফটকে ফেলে পেটান। এতে নূর ‘অজ্ঞান’ হয়ে গেলে ভিপি নুরকে রিকশায় তুলে দেন ছাত্রলীগ নেতা আবদুর রউফ। এরপর দলীয় স্লোগান দিতে দিতে ঘটনাস্থল থেকে খানিকটা দূরে টিটো মিলনায়তনে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ইফতার মাহফিলে যোগ দেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
এর আগে শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ইফতার অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠে। ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নূর।