নায়িকা শিমুর গলায় পা দিয়ে দাঁড়ান নোবেল, ধরে রাখেন ফরহাদ
নোবেল শিমুর গলা ধরতে গেলে তাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেন। ফরহাদকে শিমুর গলা ধরার জন্য বলেন নোবেল। তিনি গলা আর নোবেল দুই হাত চেপে ধরেন। একপর্যায়ে পড়ে যান শিমু। এরপর নোবেল পা দিয়ে দাঁড়ান শিমুর গলার ওপর। এতে শিমু প্রস্রাব করে দেন। এক সময় নিস্তেজ হয়ে পড়েন। এ সময় ফরহাদকে দেখতে বলেন, শিমু বেঁচে আছে কি না। ফরহাদ হাত দেখে বলেন, শিমু আর বেঁচে নেই।
চিত্রনায়িকা শিমু হত্যা মামলায় এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে। ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ হত্যার ঘটনায় স্বামী সাখাওয়াত আলী নোবেল ও তার বন্ধু এস এম ফরহাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। তাতে উঠে এসেছে এ তথ্য। কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম এ তথ্য জানান। দুই আসামি নোবেল ও ফরহাদ কারাগারে রয়েছেন। অভিযোগপত্রের বিষয়ে ১৮ সেপ্টেম্বর শুনানি হবে।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১৬ জানুয়ারি সকালে নোবেলের বাসায় যান বন্ধু ফরহাদ। ফরহাদকে ড্রইংরুমে বসতে দিয়ে নোবেলকে জানান শিমু। নোবেল ফরহাদের সঙ্গে দেখা করে রান্নাঘরে চা বানাতে যান। তখন বেডরুমে বসে মোবাইল দেখছিলেন থাকেন শিমু। নোবেল সেই মোবাইল দেখতে চান। কিন্তু শিমু দেখাতে অস্বীকৃতি জানানোয় তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি ও ধস্তাধস্তি হয়। হইচই শুনে ফরহাদ শিমুর রুমে যান।
তখন নোবেল ফরহাদকে বলেন, শিমুকে ধর, ওকে আজ মেরেই ফেলব। ফরহাদ ধরতে গেলে তাকে ফেলে দেন শিমু। এরপর তাঁরা দুজন মিলে শিমুকে হত্যা করেন। নোবেল ও ফরহাদ মরদেহ লুকানোর পরিকল্পনা করতে থাকেন। একপর্যায়ে নোবেল দুটি পাটের বস্তা এবং প্লাস্টিকের রশি আনেন। একটি বস্তার ভেতর শিমুর মাথার অংশ এবং আরেকটিতে পায়ের অংশ ভরেন।
আরো পড়ুন: ‘কিল হিম’ সিনেমায় অনন্ত-বর্ষার পারিশ্রমিক ৫০ লাখ
এরপর রশি দিয়ে দুটি বস্তা সেলাই করে দেন নোবেল। পরে শিমুর মরদেহ নোবেলের গাড়ির পেছনে ওঠান ফরহাদ। কেরানীগঞ্জ মডেল থানার আলীপুর ব্রিজ এলাকার ঝোপে মরদেহ ফেলে দেন তারা।
চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি অভিনেত্রী শিমুর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরদিন শিমুর ভাই শহীদুল ইসলাম খোকন কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। এতে শাখাওয়াত আলীম নোবেল ও তার বন্ধু আব্দুল্লাহ ফরহাদকে আসামি করা হয়। তিনদিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে রয়েছেন তারা। আদালতে নিজেদের দোষ স্বীকার করে জবানবন্দিও দিয়েছেন