পরকীয়ার কথা জেনে যাওয়ায় স্কুলছাত্রীকে পিটিয়ে হত্যা
সাভারে পরকীয়ার কথা প্রকাশ্যে চলে আসার সন্দেহে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী আমেনা আক্তার রত্নাকে (১২) মারধরের করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী এক দম্পতির বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন ওই দম্পতি। বিষয়টি গোপন রাখলেও আজ সকালে তা সবার মাঝে জানাজানি হয়।
শনিবার (২০ আগস্ট) রাতে রত্নার মৃত্যু হয় বলে আজ সকালে সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাভারের কাউন্দিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সুব্রত কুমার। ২০ আগস্ট রাতে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
মৃত আমেনা আক্তার রত্না সাভারের কাউন্দিয়া ইউনিয়নের বুড়িরটেক দক্ষিণ কাউন্দিয়া এলাকার প্রতিবন্ধী রতন মোল্লার মেয়ে। সে কাউন্দিয়ার শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী ছিলেন। অভিযুক্তরা হলেন- একই এলাকার দোকান ব্যবসায়ী জালাল (৩৫) ও তার স্ত্রী লাইলি (৩০)।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে চা শ্রমিকদের সন্তানদের মশাল মিছিল
নিহত রত্নার ভাবি মীম আক্তার বলেন, গত কয়েকদিন আগে স্থানীয় দোকানদার জালালের দোকানে যান রত্না। এ সময় দোকানে দাঁড়িয়ে জালালের সঙ্গে পরকীয়াজনিত কথা নিয়ে বাকবিতণ্ডা করছিলেন তার স্ত্রী লাইলি। সেদিনের পরে জালালের পরকীয়ার বিষয়টি স্থানীয়ভাবে জানাজানি হলে গত ১৭ আগস্ট রত্নার বাড়ি এসে তার কাছে বিষয়টি ছড়িয়ে পরার বিষয়ে জানতে চাইলে রত্না সেটি অস্বীকার করে। এরপরেও তারা রত্নাকে চুলের মুঠি ধরে টেনে বাড়ির সামনেই বেধড়ক মারধর করে। স্বামী-স্ত্রী মিলে মারধর করলে আশপাশের লোকজন এসে তাকে ছাড়িয়ে নেয়।
ওই সময় রত্নার বাবা-মা কাজের জন্য বাইরে ছিল। এরপর গত কয়েকদিন ধরে সে খারাপ লাগছে জানায়। পরে ২০ আগষ্ট রাতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানেই রাতে সে মারা যায়।
সাভার মডেল থানার কাউন্দিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে ইনচার্জ সুব্রত কুমার বলেন, ওই কিশোরীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। যে আলামত পাওয়া যাবে সে অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।