মুখ খুলতে বলেছিলেন তিন হিজাবধারী ছাত্রীর, ৭ মিনিটে বরখাস্ত শিক্ষক

হিজাব পরায় তিন ছাত্রীর সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগ উঠেছিল পঞ্চগড়ের বোদার সাকোয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আশরাফুল আলমের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় দেওয়া কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দেওয়ার সাত মিনিটের মধ্যে তাকে বরখাস্ত করেছেন গভর্নিং বডির সভাপতি হাফিজুর রহমান। রোববার (১৪ আগস্ট) বরখাস্তের চিঠি দেওয়া হয় তাঁকে।
জানা যায়, গত ২৮ জুলাই আশরাফুল আলমের বিরুদ্ধে প্রধান শিক্ষকের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন তিন ছাত্রী। তাদের অভিযোগ, হিজাব পরায় অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছেন ওই শিক্ষক। ক্লাসের বিষয় বাদ দিয়ে ব্যক্তিগত ও দলীয় আলোচনা করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৭ আগস্ট আশরাফুল আলমকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ।
রোববার বেলা ১১টায় লিখিত জবাব দেন তিনি। এর সাত মিনিটের মধ্যে তাকে সাময়িক বরখাস্তের চিঠি দেয় গভর্নিং বডি। চিঠিতে বলা হয়, জবাব সন্তোষজনক মনে না হওয়ায় সভার সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে শিক্ষক আশরাফুলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পালিয়ে বিয়ের পর পাওয়া গেল নবম শ্রেণির ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ
আশরাফুল আলম বলেন, ‘গত ২৬ জুলাই তিন শিক্ষার্থী বোরকা ও হিজাব পরে ক্লাসে আসে। তাদের মুখ ঢাকা থাকায় পরিচয় জানতে চাই। ছাত্রীদের চিনতে পারিনি বলে প্রধান শিক্ষককেও ডেকে দেখাই। প্রধান শিক্ষক আমাকে ফাঁসানোর জন্য তিন ছাত্রীকে দিয়ে অভিযোগ করিয়েছেন। অভিযোগের জবাব দেওয়ার সাত মিনিটের মাথায় আমাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি।’
গভর্নিং বডির সভাপতি হাফিজুর রহমানের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। প্রধান শিক্ষক সায়েদ মনজুরুল হাসান সুজার বক্তব্যও জানা যায়নি।