যৌন হয়রানির অভিযোগ তদন্ত না করেই শিক্ষককে দায়মুক্তি

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ছবি

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি এবং শারীরিক ও মানসিক নিপীড়নের অভিযোগ তদন্ত না করেই তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করেছে কর্তৃপক্ষ। এ অভিযোগ করেছিলেন তার নারী সহকর্মী। তারা গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক।

অভিযোগের ১০ মাস পর যৌন নিপীড়ন নিরোধ কমিটি জানিয়েছে, ক্যাম্পাসের বাইরের ঘটনা হওয়ায় অভিযোগটি তাঁরা বিবেচনাই করেননি, শারীরিক ও মানসিক নিপীড়নের প্রমাণও পাননি। গত বছরের আগস্টে ওই অভিযোগ ওঠার পর অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল।

তদন্ত কমিটির সুপারিশে গত ৮ জুন সিন্ডিকেটের সভায় বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ বিষয়ে গত সোমবার রেজিস্ট্রার দপ্তর চিঠি ইস্যু করেছে।

অভিযোগকারী নারী শিক্ষক বলেন, তদন্ত কমিটি তার তিনবার সাক্ষাৎকার নিয়েছে। কিন্তু ১০ মাস পর জানাচ্ছে, অভিযোগটি নাকি বিবেচনার বিষয় নয়। তারা নাকি কোনো প্রমাণ পায়নি। অথচ প্রমাণস্বরূপ ওই শিক্ষকের দেওয়া এসএমএস কমিটিকে দেওয়া হয়েছিল। তিনি যে ক্ষমা চেয়েছিলেন, সে–সম্পর্কিত কল রেকর্ডও আছে। এরপরও নাকি কমিটি কোনো প্রমাণ পায়নি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক বলছেন, যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ নীতিমালা অনুযায়ী কোনো বিষয়ে তদন্ত করতে না পারলে বা তদন্তাধীন বিষয় না হলে সাত কার্যদিবসের মধ্যে জানিয়ে দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে তা করা হয়নি। ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমার নির্দেশনাও মানা হয়নি।

আরো পড়ুন: শ্রেণিকক্ষে ছাত্রী ও শিক্ষিকাকে উত্ত্যক্ত, মূল হোতা গ্রেপ্তার ঢাকায়

এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির প্রধান অধ্যাপক মোসা. তাসলিমা খাতুন গণমাধ্যমকে বলেন, ক্যাম্পাসের বাইরের কোনো ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এখতিয়ারবহির্ভূত। এ বিষয়ে কিছু করতে পারেন না তাঁরা। এটা জানাতে ১০ মাস সময় লাগার বিষয়ে কোনো জবাব দিতে পারেননি।

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে বলেন, কমিটির বিচার করার এখতিয়ার নেই ঠিক আছে। তবে তদন্ত করে অপরাধীকে শনাক্ত করে সুপারিশ করতে পারে। কমিটিতে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা হয়তো নারীর প্রতি সংবেদনশীল নন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) খান গোলাম কুদ্দুস বলেন, তিনি এখন চাইলে আদালতের আশ্রয় নিতে পারবেন।


সর্বশেষ সংবাদ