‘ডাকাত’ বলে র‌্যাবের ওপর হামলার নেতৃত্বে ছিলেন ছাত্রলীগ নেতা

ডাকাত সন্দেহে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করা র‌্যাবের গাড়ি
ডাকাত সন্দেহে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করা র‌্যাবের গাড়ি  © ফাইল ছবি

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে র‍্যাব সদস্যদের ওপর হামলার নেতৃত্বে ছিলেন এক ছাত্রলীগ নেতা। প্রত্যক্ষদর্শী, স্থানীয় ব্যবসায়ী ও র‍্যাব এমন তথ্য জানিয়েছে। ওই নেতার নাম মো. তানভীর হোসেন ভূঁইয়া। তিনি ফেনীর ছাগলনাইয়ার ঘোপাল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি। মাদক উদ্ধারে গিয়ে তার হামলার শিকার হয় র‍্যাব। তানভীর এলাকার মাদকসহ নানা অপরাধের নিয়ন্ত্রণকারী বলে র‌্যাব জানিয়েছে।

গত বুধবার সন্ধ্যায় মিরসরাইয়ের পৌর বাজারে হামলার শিকার হন র‍্যাবের সদস্যরা। এতে তিনজন গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় জোরারগঞ্জ থানায় হামলা, অস্ত্র ও মাদক উদ্ধারের তিনটি মামলা করেছে র‍্যাব। এর মধ্যে হামলা ও মাদক মামলায় তানভীরকে আসামি করা হয়। তিনি পলাতক রয়েছেন।

র‍্যাব-৭ চট্টগ্রামের অধিনায়ক লে. কর্নেল এম এ ইউসুফ বলেন, তানভীর কিছু সহযোগী নিয়ে মাদকের ব্যবসা করেন র‍্যাবের কাছে তথ্য ছিল। তার সহযোগী মো. ফরহাদ ও মো. সাকিবের কাছে ক্রেতা সেজে তথ্য সংগ্রহ ও মাদক কিনতে যান সাদা পোশাকের র‍্যাব সদস্যরা। তানভীর নিজেই ইয়াবা ও ফেনসিডিল দিতে আসেন। তাঁরা মোটরসাইকেল ও সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ছিলেন। ওই সময় তানভীরের এক সহযোগীকে আটকের চেষ্টা করে র‌্যাব।

একপর্যায়ে তানভীরসহ সহযোগীরা ডাকাত বলে চিৎকার করতে থাকেন। একই সময়ে কাভার্ড ভ্যানের লোকজনও ডাকাত বলে চিৎকার করে। তখন স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়। একপর্যায়ে সবাইকে নিয়েতানভীরের সহযোগীরা র‍্যাবের ওপর হামলা চালায়।

এ বিষয়ে ছাগলনাইয়া উপজেলার ঘোপাল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মো. তানভীর হোসেন ভূঁইয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জিয়াউল হক বলেন, তানভীরের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তাঁর সঙ্গে কথা বলা যায়নি। এ কারণে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। মাদকে জড়িত থাকলে তাঁর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরো পড়ুন: বাইরের চার ছাত্রকে নিয়ে মাদক সেবন করছিলেন বেরোবির দু’জন

এদিকে সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনায় ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন মফিজুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম, সোয়েব উদ্দিন, মো. সাইদুল ইসলাম, সাইদুর রহমান, আনোয়ার হোসেন, মো. আবু সাঈদ, নাসির উদ্দিন, এস এম শাফায়েত হোসেন, নাহিদ উদ্দিন, মো. মাঈন উদ্দিন, হোসেন ও ফাহাদ।

র‍্যাব-৭ চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) নুরুল আবসার বলেন, সাইদুরের তথ্যের ভিত্তিতে ছিনিয়ে নেওয়া অস্ত্রটি শাফায়েতের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে দুই হাজার ইয়াবা, ৫২ বোতল ফেনসিডিল ও এক কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।


সর্বশেষ সংবাদ